শ্রীমঙ্গল হাজী সেলিম ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে চতুর্থ দিনের মত রাজনগর উপজেলার তিনটি গ্রাম ও শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের দুটি গ্রামের বন্যায় আক্রান্ত পরিবারে মধ্যে ত্রাণসহায়তা দেওয়া হয়।
সোমবার (২৬ আগস্ট) চতুর্থ দিনের মত রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের আদিনাবাদ, সৈয়দ নগর, টগরপুর ও শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম শ্রীমঙ্গল হাওর পারের দুটি গ্রামের বন্যায় আক্রান্ত ৫শত পরিবারকে শ্রীমঙ্গল হাজী সেলিম ফাউন্ডেশন এর পক্ষ ত্রাণসহায়তা দেওয়া হয়।
হাওর পাড়ের বাসিন্দা আবুল মিয়া (ছন্দ নাম) বলেন, আমার বসতঘরটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাঁছ জনের পরিবার নিয়ে বড় কষ্টে আছি। আমি ত্রাণের নৌকা দেখেই ছুটে আসি। এই খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আমি খুবই খুশি।খাদ্য সহায়তা পাওয়া টগর পুরের রোজিনা বেগম (ছন্দ নাম) (৫৫) খাদ্যসামগ্রী পেয়ে জানালেন তাঁর খুশির কথা। তিনি বলেন, ‘বন্যায় আমার ঘরে কোমরপানি ছিল। ছয় দিন অন্যের বাড়িত থেকেছি। এখন পানি নামছে। বাড়িতে এসে দেখি, ঘরের সব নষ্ট হয়ে গেছে। আজকে প্রথম সাহায্য পাইলাম। সাহায্য পাইয়া বড় খুশি হযেছি। খাদ্যসামগ্রী পেয়ে সৈয়দ নগরের সিকন্দর মিয়া (৬০) বলেন, আমাদের গ্রামে অনেকেই পানিবন্দি ছিল।এখন পানি নামতে শুরু করায় বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন লোকজন। তাই অনেকেই কষ্টে আছে। এই খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আমরা খুবই খুশি।
হাজী সেলিম ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির জিলানী বলেন, ২০১৯ সালে হাজী সেলিম ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও এলাকার পুরানগাঁও এর বাসিন্দা কাতার প্রবাসী হাজী সেলিম। হাজী সেলিম ফাউন্ডেশন চালু করে তিনি সমাজসেবামূলক কাজ শুরু করেন। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায়ও তাঁর ফাউন্ডেশন ত্রাণসহায়তা দিয়েছিল। এবারের বন্যায় কমলগঞ্জ উপজেলা, রাজনগর উপজেলা, মৌলভীবাজার সদর ও শ্রীমঙ্গলে পাঁচ লাখ টাকার ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
কাতারে ব্যবসা করে উপার্জিত টাকায় ফাউন্ডেশনটি পরিচালিত হচ্ছে। ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি নানা মানবিক কাজ করছেন।এ ফাউন্ডেশন দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা, ঘর নির্মাণ, ছিন্নমূল শিশুদের শিক্ষা, চিকিৎসা, দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বিয়ে দেওয়া, এতিমদের সহায়তা, পানীয় জলের ব্যবস্থা, মসজিদে সহযোগিতাসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বিভিন্ন দুর্যোগেও প্রতিষ্ঠানটি খাদ্যসহায়তাসহ নানা মানবিক কাজ করে থাকে।
আব্দুল কাদের জিলানী সাংবাদিক ঝলক দত্ত, নান্টু রায়, গোলাম কিবরিয়া জুয়েল, মোঃ আল আমিন মিয়া, রবি উদ্দিন, মেম্বার মহসিন মিয়াসহ সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানান এবং স্বেচ্ছাসেবক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রথমে ডায়নাতে করে ত্রাণ নিয়ে পরে নৌকায় করে হাওর পারের গ্রাম গুলোতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।