মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগ ওঠেছে। রোববার (১৩ অক্টবোর) শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সদ্য সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মহসিন মিয়া মধু নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী মুজিব বিএনিপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মৌলভীবাজার- ৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।
উপজেলার খাইছড়া চা বাগান পূজামণ্ডপসহ বেশ কয়েকটি পূজা মণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনে মহসিন মিয়া বলেন, আলহাজ্ব মুজিব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমান তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জী, কালিঘাট ইউপি চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালা ও সাতগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান দেবাশীষ দেব রাখুর ওই সংখ্যালঘু তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এতে দূর্গোৎসব চলাকালে সনাতন ধর্মবলম্বী ও চা বাগানের সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক, ভয়-ভীতি এবং অসন্তোষ দেখা দেয়। ফলে তার প্রতি স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক লোকজনের অভিযোগ রয়েছে। বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে তার এমন কর্মকান্ডের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল। শ্রীমঙ্গল শান্তি ও সম্প্রীতির জায়গা। এখানে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বা ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির যে কোন অপচেষ্টা করা হলে তাকে কঠোর হাতে প্রতিহত করা হবে।
এসময় আলহাজ্ব মুজিবের এমন অরাজনৈতিক আচরণ ও সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানোর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে বিএনপি নেতা আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ‘এখন ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন।’