স্বাগতিক দল কাতারকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক আউটে উঠল ভার্জিল ফন ডাইকের দল। অন্যদিকে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে সেনেগালের মুখোমুখি হয়েছে ইকুয়েডর। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে এনার ভ্যালেন্সিয়াদের হারিয়ে শেষ ষোলর টিকেট কেটেছে সেনেগাল।
সোমবার রাতে একই সময়ে এ গ্রুপের দুই ম্যাচে মাঠে নেমেছিল নেদারল্যান্ডস-কাতার ও সেনেগাল-ইকুয়েডর। খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ২-০ গোলে হারিয়েছে কাতারকে। গ্রুপের আরেক ম্যাচে ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আফ্রিকার চ্যাম্পিয়ন সেনেগাল।
নেদারল্যান্ডস-কাতার ম্যাচের মধ্যদিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডের মালিক হয়েছে কাতার। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম স্বাগতিক দল হিসেবে গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ হারল তারা। ম্যাচের শুরু থেকেই স্বাগতিকদের রক্ষণে চড়াও হতে থাকে ডাচরা। চতুর্থ ও চতুর্দশ মিনিটে আসে দুটো সুযোগও। কিন্তু জালে বল জড়াতে পারেনি ডাচরা।
২৬তম মিনিটে গ্যাকপোর দারুণ গোলে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ডেভি ক্লাসেনের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে চার পাশে ঘিরে থাকা প্রতিপক্ষের কয়েকজন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি, এরপর ডান পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডি ইয়ং। ক্লাসেনের ক্রসে কাছ থেকে মেমফিসের শট গোলরক্ষক মেশাল বারশাম ঠেকানোর পর জালে বল পাঠান বার্সেলোনা মিডফিল্ডার। নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হলে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফন ডাইকের দল।
আরেক ম্যাচে ৪৪তম মিনিটে সফল স্পট কিকে সেনেগালকে এগিয়ে নেন সার। পিয়েরো ইনকাপিয়ে এই ফরোয়ার্ডকে ফাউল করাতেই পেনাল্টি পেয়েছিল আফ্রিকার দলটি।
৬৭তম মিনিটে কাইসেদোর গোলে সমতা ফেরায় সেনেগাল। তবে সমতা টেকে মাত্র ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড। ফ্রি কিক থেকে কলিবালির চমৎকার গোলে এগিয়ে যায় সেনেগাল। ৬৭তম ম্যাচে এসে প্রথম আন্তর্জাতিক গোলের দেখা পেলেন চেলসির এই ডিফেন্ডার। এই গোলে পর আর কোনো গোল না হলে সাদিও মানে বিহীন সেনেগাল উঠে যায় শেষ ষোলতে।