শেষ দিনে প্রায় অসম্ভব লক্ষ্যের সামনে বাংলাদেশ

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) চতুর্থ দিনের শুরুটা বেশ ভালো করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় সেশন থেকে শেষ সেশন পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে গেছে টাইগাররা। এখন জয় দূরের কথা, হারের শঙ্কায় স্বাগতিকরা।

চট্টগ্রাম টেস্টে শেষ দিনে ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৪১ রান। অন্যদিকে ভারতের চাই ৪ উইকেট। সাকিব ৪০ এবং মিরাজ ৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।

এর আগে চতুর্থ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরির রেকর্ড স্পর্শ করেন জাকির হাসান। গতকাল ১৭ রানে অপরাজিত থেকে দিন পার করার পর আজ ৮৩ রান যোগ করে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ওপেনার হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটাও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ২১৯ বলে ১৩ চার ও ১ ছয়ে সেঞ্চুরি উদযাপন করেন জাকির।

এর আগে অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আরো তিন ক্রিকেটার। অভিষেক টেস্টে আমিনুল ইসলাম বুলবুল, এরপর মোহাম্মদ আশরাফুল। সবশেষ এই ক্লাবে যুক্ত হয়েছিল পেসার আবুল হাসান রাজুর নাম। এবার চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এই তালিকায় ঢুকলেন জাকির।

বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট অভিষেকে ওপেনার হিসেবেও জাকির এখন এগিয়ে। বাংলাদেশের হয়ে আগের সেরা ছিল জাভেদ ওমর বেলিমের। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকে তিনি অপরাজিত থাকেন ৮৫ রানে।

সেঞ্চুরি করে জাকিরের ফেরার পরই ব্যাটিংয়ে ধস নামে টাইগার শিবিরে। মুশফিকুর রহিমের পর ফিরে যান নুরুল হাসান সোহানও। দলীয় ২৩৫ রানের মাথায় অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে ২৩ রান করে ফিরে যান মুশফিক। একই ওভারে ফিরে যান নুরুল হাসান সোহানও। উইকেটকিপার এই ব্যাটার করেন মোটে ৩ রান।

এর আগে দুই উইকেট হারানোর পর লিটন দাস এবং জাকির হাসানের জুটিতে বড় পার্টনারশিপের আশা দেখছিল বাংলাদেশ। তবে চা বিরতির মিনিট দশেক আগেই ঘটে বিপত্তি। কুলদীপ যাদবের বলে ব্যক্তিগত ১৯ রানে লং অনের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তারকা এই ব্যাটার। ভেঙে যায় ৪২ রানের জুটি।

চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে জাকির-শান্তর জুটিতে বেশ ভালোই এগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দলীয় ১২৪ রানের মাথায় উমেশ যাদবের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শান্ত। করেন ৬৭ রান।

দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসের সঙ্গে প্রথম ইনিংসের ২৫৪ রান যোগ হলে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা গিয়ে দাঁড়ায় ৫১৩ রানে। সাগরিকা টেস্টে ভারত প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করেছিল ৪০৪ রান। বিপরীতে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে মোটে ১৫০ রান।