শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ভারতের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ভারতের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। একইসাথে এই প্রথমবার ভারতের বিপক্ষে সিরিজ না হারার কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভারত নারী দলের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। হাতে ছিল এক উইকেট। এমন সমীকরণের সামনে মারুফা আক্তারের ওপরই ভরসা রাখেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। এই পেসারের করা ওভারের প্রথম দুই বলে একবার করে প্রান্ত বদল করেন দুই ব্যাটার। স্কোরলাইন সমান হওয়ার পর ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট লেন্থে করেছিলেন মারুফা। সেখানে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পরেন মেঘনা। তাতে ম্যাচ ড্র হয় এবং ১-১ এর সমতায় সিরিজও ড্র হয়েছে।

শনিবার (২২ জুলাই) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ফারজানার সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান তুলতে পারে ভারত।

২২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১ রানে প্রথম এবং ৩২ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত। এরপর ওপেনার স্মৃতি মান্দানার সঙ্গে চারে নামা হারলিন দেওল ১৩৬ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন। স্মৃতি ফিরে যান ৫৯ রান করে। দেওল ফেরেন ১০৮ বলে নয় চারের শটে ৭৭ রান করেন।

মিডল অর্ডারের দেওল দলীয় ১৯১ রানে সাজঘরে ফিরে যান। জিততে ভারতের তখন ৮.৪ ওভারে দরকার মাত্র ৩৫ রান। সেখান থেকে দুর্দান্ত দৃঢ়তা দেখান বাংলাদেশের মেয়েরা। ২১৭ রানের মধ্যে তুলে নেন ভারতের ৯ উইকেট। নাহিদা ও রাবেয়া একে একে সাজঘরে ফেরান আমনজোত, স্নেহা ও দেবিকাকে।

ম্যাচের পাল্লা তখন দুই পক্ষে ফিফটি-ফিফটি। শেষও হয়েছে ফিফটি-ফিফটিতে। যদিও শেষ ব্যাটার মেঘনা সিং একটা চার মেরে দলকে জয়ের কাছে এনেছিলেন। কিন্তু এক রান দূরত্বে থাকতে তাকে আউট করে দেন দেশের উদীয়মান পেসার মারুফা আক্তার। অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে ৩৩ রান করা জেমিমাহ রদ্রিগেজ দেখেছেন দলের এই ব্যাটিং বিপর্যয়।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬০ বল খেলে ১০৭ রান করেন ফারজানা। তার ব্যাট থেকে সাতটি চারের শট আসে। ছিল না কোন ছক্কা। বাকি রান তিনি ডাবল-সিঙ্গেলে নিয়েছেন। অর্থাৎ তার সেঞ্চুরি যতটা না চার-ছক্কার গল্প তার চেয়ে বেশি দৃঢ়তা-লড়াই আর পরিশ্রমের।

ফারজানার সঙ্গে ওপেনার শামীমা সুলতানা ৯৩ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন। এই ওপেনার খেলেন ৭৮ বলে পাঁচ চারের শটে ৫৩ রান। এছাড়া তিনে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানা ২৪ রানের ইনিংস খেলেন। পাঁচে নামা সোবহানা মুস্তারি ২২ বলে ২৩ রান করেন।