শেখ কামাল ছিলেন ‘তারুণ্যের রোল মডেল’ : বিভাগীয় কমিশনার

সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আসলেই ছিলেন ‘তারুণ্যের রোল মডেল’। মাত্র ২৬ বছরের জীবনকালে তিনি শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রমাণ রেখে গেছেন। তাই পনেরোই আগস্টের আগে-পরে ষড়যন্ত্রকারী ও ঘাতক চক্র তাকে নিয়ে মিথ্যাচার চালায়-অপবাদ রটায়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

শুক্রবার (০৫ জুলাই) সকালে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, শেখ কামাল পরিপূর্ণ জীবন পেলে তিনিও বঙ্গবন্ধুর সার্থক উত্তরসূরি হতেন। তার মধ্যে পিতার মতো মাটির প্রতি-মানুষের প্রতি অফুরান ভালবাসা ছিল। তাই ঘাতকরা তাকে বাঁচতে দেয়নি।

তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি-বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি তারাই পনেরোই আগস্ট ও একুশে আগস্টের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ পিপিএম, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ, পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ ফরিদউদ্দিন পিপিএম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন অহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো জাকির হোসেন।

আলোচনাসভা সঞ্চালনায় ছিলেন, জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশ গুপ্ত।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, শেখ কামাল সদ্য স্বাধীন দেশে স্বল্পকালীন জীবনেও অনেক কিছু করে গেছে, যা থেকে নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা নিতে হবে।

এসএমপি কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ শেখ কামালের স্মৃতিচারণ করে বলেন, দেশের জন্যে-জাতির কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ একজন তরুণের বিরুদ্ধে কত কুৎসাই না রটানো হয়েছিল। এসব যে শতভাগ মিথ্যা ছিল তা ১৯৯৬ সালের পর প্রমাণিত হতে শুরু করে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদউদ্দিন বলেন, পনেরোই আগস্টের হত্যাযজ্ঞের পর বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। শেখ কামাল কেবল মেধাবী ছিলেন না-ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি রক্ষায়ও অনন্য অবদান রেখে গেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান শেখ কামালের জীবনের বিভিন্ন দিক বিশেষ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে খেলাধুলার উন্নয়নে আবাহনী ক্রীড়া চক্র গঠন, খেলোয়াড়দের বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেওয়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট থেকে সংস্কৃতির ধারাকে বেগবান করার বিষয় তুলে ধরেন।

এর আগে সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচিতে ছিল, শিশুদের নানা ধরনের প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ, বাদ জুমা কোরান খতম ও দোয়া মাহফিল।