রমজান হিজরি সনের বিশেষ ও মহিমান্বিত একটি মাস। এ মাসে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান রোজা পালন করা হয়। পুরো বিশ্বের মুসলমানরা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রোজা রাখেন। আর বছর ঘুরে ফিরে এসেছে সেই মাহে রহজান।
রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন হলো রহমত, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত এবং শেষ ১০ দিন নাজাতের। রমজান মাসের বিশেষ আমলগুলোর মধ্যে রয়েছে- তারাবি নামাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) তারাবির নামাজের প্রতি উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও পরকালের আশায় রমজানের রাতে কিয়ামুল লাইল (তারাবি) আদায় করবে, তার অতীতের পাপ মার্জনা করা হবে।’ (নাসায়ি, হাদিস : ২২০৫)
নিয়ম মোতাবেক গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দেশে রমজান মাসের প্রথম তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এশার নামাজের পর সারা দেশের মসজিদগুলোতে তারাবির নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এরপর ভোররাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখা শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
রাষ্ট্রপতির বাণী
রমজানের পবিত্রতা ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ব্যক্তি এবং সমাজ জীবনে এর সঠিক প্রতিফলন ঘটানো ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে তিনি বলেন, পবিত্র মাহে রমজান আমাদের মাঝে সমাগত। এ উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।
বরকতময় মাহে রমজান মাস মহান আল্লাহর নৈকট্য এবং তাকওয়া অর্জনের অপূর্ব সুযোগ এনে দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ক্ষমালাভের জন্য যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় মাসটি পালন করে থাকে। সিয়াম সাধনা ধনী-গরীব সবার মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, পবিত্র এ মাসে আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে ও সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্যলাভ এবং ক্ষমা লাভের অপূর্ব সুযোগ হয়।
বাণীতে তিনি বলেন, ‘সিয়াম সাধনা ও সংযমের মাস পবিত্র মাহে রমজান আমাদের মাঝে সমাগত। পবিত্র এ মাসে আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে ও সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্যলাভ এবং ক্ষমা লাভের অপূর্ব সুযোগ হয়। সিয়াম ধনী-গরিব সবার মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে।’
পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগবিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছলতা ও সংঘাত পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসুন আমরা জীবনের সর্বস্তরে পরিমিতিবোধ, ধৈর্য্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করি। সকল প্রকার কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি। সিয়াম পালনের পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করি ও ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকি।’