শিল্পকলার সাংস্কৃতিক উৎসব : দ্বিতীয় দিনেও মুগ্ধ দর্শক

‘শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যের আলোকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেটের আয়োজনে রোববার (৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় নগরীর রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়াম সংলগ্ন মুক্ত প্রাঙ্গণে ‘শিল্পের শহর সিলেট’ শিরোনামে দ্বিতীয় দিনের সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হয়।

সিলেট বাংলাদেশের অন্যতম সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অঞ্চল। এই জেলার গান, নাটক, সাহিত্য, লোকজ সাংস্কৃতিক রীতিনীতি অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এ অঞ্চলের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা দেশব্যাপী প্রশংসনীয় ও নন্দিত।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পূর্বে জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্তের সভাপতিত্বে আলোচনা পর্বে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, বিশিষ্ট তথ্যচিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিরঞ্জন দে যাদু এবং সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নোবেল।

আবৃত্তি ও নাট্যশিল্পী আমিনা আক্তার রূপার উপস্থাপনায় সাংস্কৃতিক উৎসবে বাউল গান, লোকগান, লোকনৃত্য, মণিপুরি নৃত্য, আবৃত্তি ও লোকছড়া পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন একাডেমি ফর মণিপুরি কালচার অ্যান্ড আর্টস, নবারূন শিল্পী গোষ্ঠী, মৃত্তিকায় মহাকাল, নৃত্যরথ, মোকাদ্দেস বাবুল, বিরহী কালা মিয়া, ইকবাল সাঁই, প্রিয়াংকা রাণী দাশ, সুদীপ্তা দাশ গুপ্তা স্বর্ণা, অর্পিতা তালুকদার, রাকিবুল ইসলাম, সুস্মিতা তালুকদার, সূর্য্য কর শুভ, রাধিকা রাণী দেব ও তুলি পাল মধুকণ্ঠী।

শিল্পীদের নান্দনিক পরিবেশনায় মুগ্ধ হন দর্শক। উৎসবে উপস্থিত হাজারও দর্শকের মুহুর্মুহু করতালিতে প্রশংসিত হয় শিল্পীদের সকল পরিবেশনা। উৎসবটি চলবে আগামী ১৩ জানুয়ারি প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।