শিল্পকলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সিলেটে আনন্দ উৎসব

শিল্পের উৎকর্ষ সাধন, সকলের জন্য শিল্প-সংস্কৃতি এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ৪৯ বছর যাবত কাজ করে চলেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজন করা হয় আনন্দ উৎসবের।

‘শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে আয়োজিত আনন্দ উৎসবটি কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা করা হয়।

জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত’র সভাপতিত্বে কেক কাটার পর্বে অংশগ্রহণ করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্ত্তী, শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক পূর্ণিমা দত্ত রায়, অরুণ কান্তি তালুকদার, প্রতীক এন্দ, শিনিয়া সাহা ঝুমা, রবিউল আউয়াল রবি, পপি দাস, জেলা শিল্পকলা একাডেমির স্টাফ রবিউল আহাম্মেদ রনি, মো. রাসেল আমীন, মো. নূরে আলম, বিধু ভূষণ রায় ও মনতাজুর রহমান চৌধুরী। আনন্দ উৎসবে অংশগ্রহণকারী সংগঠনসমূহের দল প্রধানগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নৃপেন্দ্র দেব, মনোজ কুমার ভট্টাচার্য্য, বিমল কর, অমিত ত্রিবেদী, পরাগ রেণু দেব তমা, রুবেল রাজ প্রমুখ।

আবৃত্তিশিল্পী ফাইজা বাসিসাহ কোরেশীর সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিল, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্য শিশু এবং সাধারণ বিভাগ, একাডেমি ফর মণিপুরি কালচার অ্যান্ড আর্টস, গীতসুধা, নবারূন শিল্পী গোষ্ঠী, অনির্বান শিল্পী সংগঠন, মুক্তাক্ষর, তারুণ্য, গীতাঞ্জলী, সুরের ভুবন, দিপ্তর্ষী ও সিলেট নৃত্যালয়। মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও বর্ণিল এই আনন্দ উৎসবে বিমোহিত হন আগত হল ভর্তি দর্শক।