শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্যার্তদের আশ্রয় কেন্দ্রে পরিণত ও পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহের দাবি

সিলেটের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্যার্তদের আশ্রয় কেন্দ্রে পরিণত ও পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখা। শুক্রবার (১৭ জুন) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায় বিবৃতিতে উপরোক্ত দাবি করে বলেন, গত কয়েকদিন অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পূণরায় বন্যাকবলিত হয়েছে সিলেট জেলা। এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা বন্যায় অসহায় হয়ে পড়েছে মানুষজন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানির সংকট চলছে বন্যার্ত পানিবন্দী মানুষের মাঝে। তারা নিরাপদ আশ্রয়েও যেতে পারছে না। সরকারি কিংবা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়নি। পানিতে নগরীর উপশহর, সোবহানীঘাট, চালিবন্দর, তালতলা, শেখঘাট, মির্জাজাঙ্গাল, মাছিমপুর সহ ৫০ টি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জেলার ৫ টি উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ তলিয়ে গেছে। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি। পরিস্থিতির আরও অবনতির আশংকা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ৩১ টি আশ্রয় কেন্দ্র খুললেও তা পর্যাপ্ত না। অনেক মানুষ আশ্রয়ের আশায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। এক মাস পূর্বের বন্যায় সিলেটের ২০ লক্ষ মানুষের জন্য সরকারি বরাদ্দ ছিল মাত্র ২৫ লক্ষ টাকা যা মানুষের সাথে পরিহাস ছাড়া কিছুই নয়। এক মাস পূর্বের বন্যার ক্ষয়ক্ষতি সামলিয়ে উঠার পূর্বেই আবার বন্যা মানুষকে অসহায় করে তুলেছে, এবার বন্যা হতে পারে এটা অজানা ছিল না, অথচ কোন প্রস্তুতি নেয়া হলনা।

মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা সরকারের থাকলে এটা হতনা। এই পরিস্থিতিতে তিনি সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলাকে দূর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানান এবং সিলেটের যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এলাকায়, সেগুলোকে বন্যার্ত মানুষের আশ্রয় কেন্দ্রে পরিণত করার দাবি জানিয়ে বন্যাকবলিত মানুষকে পর্যাপ্ত খাদ্য সহয়তা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের আহবান জানান। সিলেটের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য অবিলম্বে সুরমা নদী খননের দাবিও ব্যাক্ত করেন।