শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষা অর্জনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত মনুষ্যত্ব অর্জন।
শিক্ষার্থীদের যুগপোযোগী শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার পাশাপাশি নিজেকে মানবিক মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করলেই মানুষ হওয়া যায় না। ভালো মানুষ হতে হলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সকল মানবিক গুণের অধিকারী হতে হবে। তাহলে তোমরা সমাজকে আলোকিত করতে পারবে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় কানাইঘাট উপজেলার বীরদল এন.এম একাডেমী মাঠে মাওলানা রফিকুল হক ফাউন্ডেশনের প্রথম মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ২০২৩ এর পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এসময় তিনি, মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহ উদ্দীপনা দেওয়ার জন্য সামাজিক সংগঠন এবং সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।
মাওলানা রফিকুল হক ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জুবায়ের আহমদ ইউসুফের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কানাইঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শাব্বির আহমদ, গাছবাড়ী জামিউল উলুম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা তাহির উদ্দিন, কানাইঘাট সরকারি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. লোকমান হোসাইন, কানাইঘাট মনসুরিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মো. মামুন আহমদ, চরিপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. ফয়জুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন, ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. জার উল্লাহ, মনসুরিয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক মাওলানা সাইফুল আলম, মাস্টার ফয়ছল আহমদ, বীরদল এন.এম একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল হক, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিজাম উদ্দিন, কানাইঘাট মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, সমাজসেবী মুহিবুল হক প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, মাওলানা রফিকুল হক ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি মো. ফয়ছল উদ্দিন। ১ম মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এডুকেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট মো. অলিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তাগণ ফাউন্ডেশনের ধারাবাহিক অগ্রগতি কামনা করেন এবং গবেষণা এরকম প্রতিযোগিতা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার আহ্বান জানান।
প্রতিযোগিতায় উপজেলার ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের ২১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজয়ী ৪১ জনকে একটি করে স্কুল ব্যাগ, পুরষ্কার প্রনোদনার সম্মানী ও সনদ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।