শিক্ষক হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ সমাবেশ

সাভারে ছাত্রের উপর্যুপরি স্ট্যাম্পের আঘাতে প্রভাষক উৎপল কুমার সরকার হত্যার দ্রুত বিচার ও নড়াইলে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে নির্যাতনের প্রতিবাদে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সিলেট ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট যৌথভাবে প্রতিবাদী সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় রিকাবীবাজার কবি নজরুল অডিটোরিয়াম গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। প্রতিবাদী এ আয়োজনে ব্যানার সহকারে সংহতি জানায় ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা)।

সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশুর সভাপতিত্বে ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-আজাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামসুল আলম সেলিম, নাট্য পরিষদের সাবেক সভাপতি ও তথ্যচিত্র নির্মাতা নিরঞ্জন দে যাদু, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, ইমজা সভাপতি মইন উদ্দিন মঞ্জু, শিক্ষক নেতা উজ্জ্বল দাস প্রমুখ।

সংস্কৃতিকর্মীদের এই প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবকে সামনে রেখে দেশবিরোধী এবং ধর্মান্ধ চক্র সামাজিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের অব্যাহত যাত্রাকে বিনষ্ট করতে দেশে বিভিন্ন অপকর্ম সংগঠিত করছে। যে কোনও ব্যক্তির উপর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হত্যা, হেনস্থাসহ নানা অপকর্ম করছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ছাত্রের পিটুনিতে শিক্ষক হত্যা এবং নড়াইলে পুলিশের সামনে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরিয়ে অপদস্ত করার ঘটনা ঘটে।

নেতৃবৃন্দ বলেন- ‘নড়াইলে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, স্বপন কুমার বিশ্বাসকে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে তার প্রতিবাদে আমরা দাঁড়িয়েছি। সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে মনে হয়েছে আমাদের প্রতিবাদ করা দরকার। একটু দেরিই হয়ে গেল বোধ হয়, আরও আগেই দাঁড়ানো দরকার ছিল। আমরা দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করি।’

বিক্ষোভ ও সমাবেশে বিভিন্ন নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।