শিক্ষকদের জোরপূর্বক অপসারণ ও হেনস্থার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সারাদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জোরপূর্বক অপসারণ ও হেনস্থার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা’ ব্যানারে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।

লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান প্রান্তিকের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি, সিলেটের সভাপতি সৈয়দ মনির হেলাল, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষক প্রণবেন্দু দেব, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রওশন আরা মুকুল, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল করিম কিম, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সিলেটের আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা, আইনজীবী বিদ্যুৎ কুমার দাশ বাপন, ইমজা সহকারী সাধারণ সম্পাদক নাবিল হোসেন, এমসি কলজের সাবেক শিক্ষার্থী সাগর দাস, নরোত্তম দাস প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক সংগঠক শামসুল বাসিত শেরো, আইনজীবী অরুপ শ্যাম বাপ্পী, সাংবাদিক রাজীব রাসেল, নগরনাটের সাবেক সভাপতি উজ্জ্বল চক্রবর্ত্তী, আইনজীবী বিশ্বপা ভট্টাচার্য, বন্ধুসভা সিলেটের সাবেক সভাপতি হুমায়রা জাকিয়া পুতুল, অভ্রভেদী সন্দ্বীপ, মিসবাহ জামিল, রোদ্দুর রিফাত, মনোয়ার পারভেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এ সময় বক্তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচার হাসিনার পলায়নের মধ্য দিয়ে সমগ্র দেশে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব বিজয় সংগঠিত হয়েছে। এই বিজয় আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার পথে প্রথম পদক্ষেপ। আমাদের নতুন বাংলাদেশ আমাদেরই গড়তে হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক অন্যায়ভাবে শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করাসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এটা স্পষ্টতই অন্যায় ও অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের প্রচলিত বিচারহীনতার সংস্কৃতি ভেঙে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। অন্যায়ের মাধ্যমে কোনো অন্যায়কেই বিচার করতে চাই না। আমরা এক নতুন বাংলাদেশ চাই যেখানে সাংবিধানিক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। কোনো শিক্ষক যদি অপরাধী হোন, বা দলীয় পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করে থাকেন, তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে হবে। এভাবে জোরপূর্বক শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’