সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় ৩নং বাহাড়া ইউনিয়নের ২০২১-২২ অর্থ বছরের ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের ভিজিডি কার্ডের সঞ্চয়ের টাকা দীর্ঘ সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো ফেরত না পাওয়ায় মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনে একসুরে অভিযোগ তুলেছেন সাবেক চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ বিধান চন্দ্র চৌধুরী তাদের টাকা দেই দিচ্ছি বলে এখনো ঘুরাচ্ছেন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী ভিজিডি নামধারী মহিলাদের আয়োজনে উক্ত মানববন্ধনে ভুক্তভোগী ঝুমা রানী দাসের স্বামী রুবেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন নাছিমা বেগম, অরুন চন্দ্র দাস, লিটন চন্দ্র দাস, প্রতিমা তালুকদার, রেখা রানী দাস, সুমনা রানী দাস, স্বপ্না রানী দাস, রুমা রানী দাস প্রমূখ।
এসময় বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামন থেকে একটি শুরু হয়ে ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারের বেশ কয়েকটি রাস্তা প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এসে মানববন্ধনের মাধ্যমে শেষ করা হয়।
জানা যায় ২০২১-২২ অর্থ বছরের ওই ইউনিয়নের ভিজিডি নামধারী ৭৯ জনের ২ বছরের সঞ্চয় জনপ্রতি ৪৮০০ টাকা এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি। এর আগে এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগও করেছিলেন ভুক্তভোগীরা। তারা জানান তাদের টাকা ফেরত পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে ওই সময় তাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন আমরা ভিজিডি সঞ্চয়ের টাকা বাহাড়া ইউনিয়নের তৎকালীন সচিব বিপ্লব ও চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরীর কাছে জমা দিয়েছিলাম কিন্তু সেই টাকা আমাদের সাথের অনেকেই পেলেও আমরা ৫নং ওয়ার্ডের ভিজিডি নামধারীরা এখনো টাকা পাইনি। ভুক্তভোগীরা বলেন আমাদেরকে ৭ মাস যাবত তারা ঘুরাচ্ছে কিন্তু আমাদের টাকা পাচ্ছি না।