সুনামগঞ্জের শাল্লায় এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ-বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলার আছলম উদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নামে এ অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী চাকুরি প্রার্থীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর,অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা কর্মীসহ তিনটি পদে নিয়োগ আহ্বান করেন বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নিয়োগের পূর্বেই ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাশেম আলী প্রার্থীদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে আসছিলেন।
চাকুরি প্রত্যাশীরা স্ব-স্ব পদে আবেদন করার পর পরই নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও প্রধান শিক্ষক কাশেম আলী টাকা দাবি করলে এতে অস্বীকৃতি জানান অনেকেই।
এতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাশেম আলী প্রার্থীদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানালে গত মাসের ১৬ তারিখে ওই বিষয়টি তদন্তে আসে একটি দল। কিন্তু এখানেও অভিযোগের যেন শেষ নেই। ভুক্তভোগীদের না জানিয়ে তাদেরকে উপস্থিত না রেখেই তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যান তারা। ভুক্তভোগী প্রার্থীরা অভিযোগটি পুন:তদন্তের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের উপ-পরিচালক বরাবর আবারও আবেদন করেন।
চাকুরি প্রার্থীরা জানান, ‘এত বড় একটি অভিযোগ কিন্তু যেভাবে তদন্ত করা হয়েছে আমরা এর আগে কখনও তা দেখিনি। কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি আড়াল করতেই এমনটা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার এবং উক্ত নিয়োগ কমিটির ডিসি’র প্রতিনিধি কালীপদ দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বক্তব্য দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আমি বক্তব্য দিতে জানি না। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন এগুলো আমরা দেখি না, বুঝিও না,জানিও না।’
আছলম উদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ কমিটির সদস্য মো. কাশেম আলী বলেন, ‘আনিত অভিযোগগুলো মিথ্যা। তদন্তে এগুলো মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ‘তবে তদন্তের রিপোর্ট এখন পর্যন্ত হাতে পাননি তিনি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, পরবর্তীতে অভিযোগকারীরা আমার সাথে আর কোনো যোগাযোগ করেননি। খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’