‘স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়, দুর্যোগ প্রস্তুতি সবসময়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালন করেছে শাল্লা উপজেলা প্রশাসন ও এনজিও সংস্থা ব্র্যাক।
এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১০মার্চ) ১১টায় র্যালি, আলোচনা সভা ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক মহড়া করা হয়। র্যালিটি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দুর্যোগ প্রধানত দুই ধরণের- প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রকৃতির সাথে যুদ্ধে করে ও পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই মোকাবেলা করতে হয়। আর মানবসৃষ্ট দুর্যোগ আমরা একটু সচেতন হলেই মোকাবেলা করতে সুবিধা হয়।
বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ ছোট একটি রাষ্ট্র হওয়া সত্বেও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মোকাবেলা করতে আমরা সক্ষম।’
হাওরাঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বজ্রপাত মোকাবেলা করার জন্য বজ্রপাত নিরোধক দণ্ড স্থাপন করার কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, শাল্লায় হাওরে ইতোমধ্যে দুটি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে যাতে বজ্রপাতের সময় হাওরের মানুষ সেটাতে আশ্রয় নিতে পারে এবং দুর্যোগের পূর্বাভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যাতে প্রত্যেকের নিকটস্থ বন্যাশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেবের সভাপতিত্বে ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার কালীপদ দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যাড. দিপু রঞ্জন দাশ, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান অমিতা রানী দাশ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরদার ফজলুল করিম, শাল্লা শাখার ব্র্যাক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাউয়ূমসহ এনজিও শাখার বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা।
এদিকে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসে র্যালি ও আলোচনা সভা করেছে এনজিও সংস্থা ব্র্যাক শাল্লা শাখা। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসে আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও উপজেলার চারটি ইউনিয়নের কোন চেয়ারম্যান বা মেম্বারদেরকে প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় নি।