বাঙ্গালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের ১৬টি নির্দেশনা প্রতিটি মন্ডপে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, কোনো মন্দিরে চলবে না অশ্লীল ও হিন্দিগান। প্রতিটি পূজামন্ডপ বা মন্দিরে রাতে ভিডিও ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সনাতন ধর্মালম্বীদের আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শাল্লা উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রস্তুতি সভায় উপজেলার ৩২টি পূজামণ্ডপ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু তালেব। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাড: দিপু রঞ্জন দাস, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান অমিতা রানী দাশ।
প্রস্তুতি সভায় বক্তারা বলেন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য প্রতিবছরই কিছু কুচক্রী মহল ধর্মীয় উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেন। তাদেরকে চিহ্নিত করে শক্ত হাতে দমন করা হবে। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলা ও থানা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছেন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, সুশৃঙ্খলভাবে ভাবে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের স্বার্থে প্রশাসন এবারের দুর্গাপূজায় প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে সিসিটিভি স্থাপন করার নীতিমালা দিয়েছেন।
বক্তারা আরো বলেন, এবারের দুর্গাপূজায় একটি আইনি নিয়ন্ত্রক কক্ষ স্থাপন করা হবে এবং সেই নিয়ন্ত্রক কক্ষটি সর্বদা একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সেই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে আইনি বিষয়ক যাবতীয় সেবা দেওয়া হবে, এছাড়াও পূজামণ্ডপে প্রয়োজনীয় সংগীত ব্যতিত অন্য কোনধরনের অশ্লীল গান ও হিন্দি গান পরিবেশন না করারও নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান।
তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে প্রশাসনের বাড়তি নজরদারি রাখা হবে বলে জানা গেছে।
অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আলাউদ্দিন, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম, ৩নং বাহাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু, ৪নং শাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সাত্তার, ইউপি সদস্য সত্যব্রত সরকার দ্বিজেন, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সজীব হাওলাদার, জনস্বার্থের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাশেদসহ ৩২টি পূজামণ্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।