সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৪টি ইউনিয়নের ছোট্ট একটি উপজেলার নাম শাল্লা। যেখানে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল সংখ্যা ১৫টি এবং দাখিল মাদ্রাসা মাত্র ২টি। এ বছর এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ১ হাজার ১১৮ জনের মধ্যে ১ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন কেন্দ্রের পরীক্ষার আসনে বসেছে। পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শাল্লার দু’টি দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৪৮ জন পরীক্ষার্থী দিরাই উপজেলার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করেছে।
জানা যায়, শাল্লা সদরের শাহীদ আলী মডেল উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র ও সরকারি গোবিন্দ চন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ৫৮৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা। কিন্তু পারিবারিক ও বিভিন্ন সমস্যার কারণে ৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকে। ফলে ওই কেন্দ্র মোট ৫৭৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
উপজেলার আছলম উদ্দিন পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের ৮২ জনের মধ্যে ৮১ জন, সরলাল উচ্চবিদ্যালয়ের ৫৩ জন ও প্রতাপপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ৫৭ জনসহ মোট ১৯১জন শিক্ষার্থী হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করেছে।
কাদিরগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে সাউধেরশ্রী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৯৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এখানে সাউধেরশ্রী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকার খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলার ১নং আটগাঁও ইউনিয়নের হাফিজ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ৭৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭৬ জন ও চাকুয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ৫৬ জন সহ মোট ১৩২ জন শিক্ষার্থী শ্যামারচর রাম চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করে।
অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শাল্লায় কোনো পরীক্ষা কেন্দ্র না থাকায় উপজেলার দামপুর আটপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ২৫ জনের মধ্যে ২৪ জন ও শাল্লা হাসিমিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ২৩ জন শিক্ষার্থী দিরাই হাজী মামুদ মিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করে
শাল্লার শাহীদ আলী মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব আরিফ মোহাম্মদ দুলালের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উক্ত কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু তালেব সার্বক্ষণিক উপস্থিত ছিলেন।