সুনামগঞ্জের শাল্লা সদরস্হ ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারে আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে ৬ টি দোকানঘর। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বক্তব্য এই অগ্নিকান্ডে অন্তত ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া সত্ত্বেও তাদের কাউকে ঘটনাস্থলে আসতে দেখা যায় নি। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের দাবি আগুন নেভানোর জন্য কোন যন্ত্রপাতি না থাকায় তাদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব হয়নি।
স্থায়ীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ভোর চারটার দিকে লাকড়ির চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে এবং ৬টি দোকান ঘরের সব মালামাল পুড়ে যায়। আগুনে পোড়া দোকানগুলো হলে- ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামের শ্যামল চন্দ্র দাসের জনতা স্টুডিও, মোক্তারপুর গ্রামের দিলু সরকারের মিষ্টির কারখানা, একই গ্রামের পিযুজ তালুকদারের মিষ্টির কারখানা, ডুমরা গ্রামের প্রমোদ রঞ্জন দাসের মিষ্টির কারখানা, যাত্রাপুর গ্রামের সঞ্চয় দাসের কসমেটিক ও ভেরাইটিজ ষ্টোরের দোকান এবং ঘুঙ্গিয়ারগাও গ্রামের হরিপদ দাসের
মিষ্টির কারখানা। এতে অন্তত ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
শাল্লা ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে থাকা স্টেশন ইনচার্জ জয়ন্ত সিংহ বলেন, অগ্নিকান্ডের এলাকায় গাড়ি ঢোকানোর কোন রাস্তা নেই, আর এই প্রতিবন্ধকতায় কাজ করার কোনো যন্ত্রপাতিও নেই। তিনি বলেন আমাদের মর্মাহত হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি বলতে পারেন নি।
শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মিজানুর রহমান বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের পুলিশের ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই।