শাল্লায় অবনী মোহনের ‘বিতর্কিত বক্তব্য’, প্রতিবাদ সভার ঘোষণা

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে স্থানীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা করেছে শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগ। আলোচনা সভা শেষে নেতৃবৃন্দ শাল্লা উপজেলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট অবনী মোহন দাশের বিরুদ্ধে ‘বিতর্কিত বক্তব্য’র অভিযোগ এনে আগামী ১০ মার্চ রবিবার প্রতিবাদ সভার ঘোষণা দেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সাত্তার আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন।

জানা যায়, শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট অবনী মোহন দাশ গত ৪ মার্চ উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক এক বৈঠকে সুনামগঞ্জ-২ দিরাই-শাল্লা সংসদীয় আসনে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে পরোক্ষভাবে খাটো করে বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘হবিগঞ্জের জলসূখা টু শাল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের অনুমোদনে ৯৮ ভাগ অবদান এডভোকেট অবনী মোহন দাশের’। এই বক্তব্যের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দিরাই-শাল্লার সচেতন মহল ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অনুসারীরা এর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানানো শুরু করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় তৎকালীন হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হবিগঞ্জের কোন এক জনসভায় বেশকিছু দাবি উত্থাপন করেন। সেখানে তিনি হবিগঞ্জ থেকে জলসূখা ও শাল্লা হয়ে সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কেরও দাবিটি উত্থাপন করা হয়। সেই দাবির পরিপেক্ষিতেই আজকে হবিগঞ্জ টু সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বাস্তবায়ন হচ্ছে। কিন্তু সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট অবনী মোহন দাশ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অবদানকে অবমাননা করে নিজের অবদানের দাবি জানান।

স্থানীয় নেতাকর্মী তার এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, অবনী মোহন দাশের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি রাজনৈতিকভাবে ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধার করতেই তিনি মূলত এই বক্তব্য দিয়েছেন। এই বক্তব্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের আত্মা অনেক কষ্ট পাবে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের বিভিন্ন মন্তব্যের পরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ অবনী মোহন দাশের বিতর্কিত বক্তব্যের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদ সভার ঘোষণা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে বিতর্কিত এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বিষয়টি ঐতিহাসিক একটি প্রতিবাদ বলে জানিয়েছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অনুসারীরা।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা যুবলীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারময়ান এডভোকেট দিপু রঞ্জন, বিআরডিবির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালেকসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এডভোকেট অবনী মোহন দাশের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমি এখন কোনো মন্তব্য করবো না। এ ব্যাপারে কোন কথা বলে লাভ নেই। তারা কি করে, করার পরে কি করা যায়, তা দেখা যাবে।’