শামিমের লড়াকু ফিফটিতে স্বস্তিতে বাংলাদেশ

সিরিজের দুই ম্যাচে ঝড় তোলা দুই ওপেনার ফিরলেন শুরুতেই। তাদের ব্যর্থতার দিনে মিডল অর্ডারের কেউই উইকেটে থিতু হতে পারলো না। উইকেট হারানো মিছিলেন রীতিমতো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল টাইগাররা। তবে সবাই যাওয়া আসার মিছিলে ব্যস্ত থাকলেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন শামিম।

শেষ পর্যন্ত শামিমের লড়াকু ফিফটিতে আয়ারল্যান্ডকে ১২৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। ধবলধোলাই এড়াতে আইরিশদের প্রয়োজন ১২৬ রান।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম বলেই চার হাঁকান লিটন কুমার দাস। প্রথম ওভারে নিজের মুখোমুখি হওয়ার প্রথম বলে চার রনি তালুকদারের ব্যাট থেকেও। প্রথম ওভার থেকে আসে ৯ রান।

তবে আগের দুই ম্যাচে তাণ্ডব চালানো লিটন এদিন ফেরেন শুরুতেই। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারের দূরের বল মারতে গিয়ে জর্জ ডকরেলের তালুবন্দি হন তিনি। এ ম্যাচে লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে পাঁচ রান।

এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে নতুন করে শুরু করার চেষ্টা করেছিলেন রনি। তবে দলীয় ১৮ রানে শান্তও ফিরে গেলে চাপে পড়ে টাইগাররা। এরপর মাত্র ছয় রানের ব্যবধানে রনিও ফিরলে আরও বিপদে পড়ে টাইগাররা। রনির ব্যাট থেকে এসেছে ৯ বলে ১৪ রানের ইনিংস।

তবে উইকেটে এসেই পাল্টা আক্রমণে যেন সেই চাপ উধাও করে দিতে চাইলেন হৃদয়। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে টানা দুই বলে হাঁকান চার ও ছক্কা। তবে পরের ওভারে সাকিবের বিদায়ে বিপদ ভাঙে সেই প্রতিরোধ।

পাওয়ার প্লের পরের ওভারে বিদায় নিয়েছেন হৃদয়ও। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে থেকে টেনে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সোজা ওপরে তুলেছিলেন হৃদয় । আর তাতেই বেজেছে তার বিদায় ঘণ্টা।

অভিষেক ম্যাচে প্রথম বলে ছক্কা হাকানো রিশাদ ফিরেছেন দলীয় ৬১ রানে। আট রানে তিন ফিরেছেন আরেক অভিষিক্ত আইরিশ স্পিনার ম্যাথু হামফ্রিসের বলে বোল্ড হয়ে।

এক বলের ব্যবধানে তাসকিন আহমেদকেও খালি হাতে ফিরিয়ে দেন হামফ্রিস। একপাশে অন্যরা যাওয়া আসার মিছিলে ব্যস্ত থাকলেও অন্যপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন শামিম।

তাসকিন ফেরার পর নাসুম আহমেদকে নিয়ে চাপ সামলে নতুন জুটি গড়েন শামিম। তাদের জুটিতে কিছুটা হলেও টাইগাদের স্কোরবোর্ডে প্রাণের সঞ্চার হয়।

দলীয় ৯৪ রানে নাসুম ফিরলে ভাঙে তাদের ৩৩ রানের জুটি। এরপর ১০ রানের ব্যবধানে শরিফুল ফিরলে নবম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে একপাশ আগলে রাখা শামিম তুলে নিয়েছেন দারুণ লড়াকু ফিফটি।

১৯তম ওভারে টানা দুই বলে ছক্কা ও চার হাকিয়ে ৪১ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন শামিম। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটাই তার প্রথম ফিফটি।