শাবিতে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা সম্মেলন শুরু

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী ১০ম বার্ষিক গবেষণা সম্মেলন (রিসার্চ ফাইন্ডিংস) শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন শুরু হয়।

সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসাইন।

এসময় অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ওপর নির্ভরশীল। স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আরও বেশি গবেষণা নির্ভর সম্মেলন, গবেষণার পরিধিগুলো আরও বাড়াবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গবেষকদের বাজেট বাড়াতে, সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে পাশে আছে।’

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি মেগা প্রকল্প শেষ হলে আগামী ১০০ বছরে কোনো অবকাঠামোর প্রয়োজন হবে না। গবেষণায় আমরা ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি, শিক্ষকরাও গবেষণায় আগ্রহী হচ্ছে। গত বছর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জার্নালে ৭০০ গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মোহাম্মদ আলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাস্ট রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলাম। ভোট অব থ্যাংকস প্রধান করেন সাস্ট রিসার্চ সেন্টারের সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম মঞ্জুর রশীদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এবারের বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনে ১৬টি টেকনিক্যাল সেশনে মোট ১৪৪টি গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া চলতি বছর সাস্ট রিসার্চ সেন্টারে এক বছর মেয়াদি ১৪৯টি গবেষণা প্রকল্প, দুই বছর মেয়াদি ২৩টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদ থেকে ছয়টি ক্যাটাগরিতে ছয়জন গবেষককে ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।