শাবিতে আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত

মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর স্মৃতির স্মরণে স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ডিআইআরআই)’র উদ্যোগে এবং মাইজভাণ্ডার গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারীর পৃষ্ঠপোষকতায় সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এ স্মারক বক্তৃতা।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের আশুতোষ প্রফেসর ড. অমিত দে।

মূল প্রবন্ধে প্রফেসর ড. অমিত দে বলেন, সুফীজম মানবতার কথা বলে। ধর্মীয় বিভাজন দূরীভূত করে সহাবস্থান নিশ্চিত করে। মানবতা, বহুত্ববাদ ও সম্প্রীতি সুফিবাদের মূলকথা।

তিনি বলেন, হযরত মওলানা শাহ্ছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ প্রবর্তিত মাইজভাণ্ডারী তরিকা বাংলাদেশ থেকে উদ্ভৃত একমাত্র তরিকা, যা আজ থেকে ২০০ বছর পূর্বে মাইজভাণ্ডার গ্রামে উৎপত্তি লাভ করে তাসাউফ চর্চা তথা আত্মশুদ্ধি লাভের এক অন্যতম তরিকা হিসেবে পরিচিতে লাভ করেছে। এই তরিকার শিক্ষা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ধর্মীয় সংঘাত নিরসন করে ধর্মীয় সহাবস্থান নিশ্চিত করণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে চলেছে।

ডিআইআরআই’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

এসময় উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মারক বক্তৃতা আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবদুল গণি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান এবং চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রধান কাযী মো. সাইফুল আচফিয়া।

বক্তারা বলেন, উপমহাদেশের সুফীরা ধর্মীয় আচার পালনের মধ্য দিয়ে তরিকতের প্রচার করেছেন। সুফীরা সংস্কৃতির নানা বিষয়ের সঙ্গে ধর্মীয় আচারের মেলবন্ধন তৈরি করে মানুষকে হেদায়তের জন্য সৃষ্টিকর্তার পথ দেখিয়ে গেছেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী, আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আলমগীর তৈমুর, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিকুৃল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. আজিজুল বাতেন, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক, সহকারী প্রক্টর আহসান হাবিব, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তানিয়া জান্নাতুল কুবরা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২ শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেন।