শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতি এবং পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও কর্মদক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘ পুলিশ প্রধান লুইস কারিলহো।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দফতরে সংস্থাটির পুলিশ প্রধান লুইস কারিলহোর সঙ্গে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের সাথে বিপাক্ষিক বৈঠকে এ কথা বলেন। বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানোর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশকে অন্যতম প্রধান পুলিশ সদস্য প্রেরণকারী দেশ উল্লেখ করেন জাতিসংঘ পুলিশ প্রধান। পূর্ব তিমুর এবং হাইতিতে পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের যে উঁচু মানের পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ববোধ দেখেছেন, তা তিনি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মালি ও ডিআর কঙ্গোতে কর্তব্যরত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের পেশাদারিত্বেরও প্রশংসা করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে আসছে, যা নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এসময় আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের যে কোনও প্রয়োজনে সাড়া দিতে বাংলাদেশ পুলিশ সদা প্রস্তুত রয়েছে।’ বিশেষ করে আফ্রিকার ঝুঁকিপূর্ণ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষ ও পেশাদারি বিশেষায়িত ইউনিট মোতায়েনের অনুরোধ জানান আইজিপি।
এক্ষেত্রে তিনি সোয়াট, ক্যানাইন, রিভারাইন ও গার্ড পুলিশ এবং ফরেনসিক ইউনিটসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিট মোতায়েন এবং জাতিসংঘ পুলিশের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রশিক্ষণ আয়োজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা তুলে ধরেন।