পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবুল কালাম সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান ইমন।
শনিবার (০১ জুন) সন্ধ্যা ৮ টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাগলা বাজারে আবুল কালাম সমর্থকদের ছবি সম্বলিত বৃহৎ আকারের একটি বিলবোর্ড সাঁটানোর কারণে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালামকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দেন ওই ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু পাগলা বাজারে আরেক প্রার্থী সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ছেলে সাদাত মান্নান অভি সমর্থকদের আরেকটি বিলবোর্ড সাঁটানো থাকলেও ওই বিলবোর্ডের বিপরীতে কোনো জরিমানা কিংবা অপসারণ করেননি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান ইমন। এতে চরম ক্ষুব্দ হন আবুল কালাম সমর্থকরা।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান ইমনের গাড়ি অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা। পরে খবর পেয়ে আবুল কালাম এসে তাঁর সমর্থকদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ ব্যাপারে জানতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান ইমন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি পুরোপুরি শ্রদ্ধাশীল। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা নিতেই পারেন। কিন্তু তিনি পক্ষপাতমুলক আচরণ করে কেবল আমার বিলবোর্ডের জন্য জরিমানা করেছেন এবং বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর চোখের সামনে থাকা এমপির ছেলে সাদাত মান্নান অভির বিলবোর্ডের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি। এটা পুরো পক্ষপাতমুলক আচরণ।’
তিনি বলেন, ‘আমার মোটরসাইকেল প্রতীকের জনস্রোত আটকাতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। প্রশাসনকে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের কৌশল করা হচ্ছে। আমরা এই ফাঁদে পা দেবো না। আমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষপাতমুলক আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করবো।’
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হোসাইন মোহাম্মদ আল মোজাহিদ জানান, ‘বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে আলাপ করে তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’