সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ছয় বছরের শিশুকে ঘোড়ার লাথি মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত সাত জন।
এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে দুইপক্ষের ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন পাটলী দারুল উলূম টাইটেল মাদ্রাসার ফজিলত প্রথম বর্ষের ছাত্র ও মৃত রহিম আলীর ছেলে নূর মোহাম্মদ (২২) এবং মৃত নইম উল্লাহর ছেলে আবদুল আউয়াল (৫৫)।
সিলেট ভয়েসকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি মোক্তাদির হোসেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ৯ টায় গ্রামের আশিক আলীর বাড়ির সামনে একটি গৃহপালিত ঘোড়া বেঁধে রাখেন শের আলী। সেই ঘোড়া আশিক আলীর ছয় বছরের ছেলে ফরিদ মিয়াকে সজোরে লাথি মারলে আঘাত পায় শিশুটি।
এ ঘটনায় ফরিদ আলীর ভাই সাহার আলীর সাথে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে সাহার আলীকে মারধর করেন শের আলীর সহযোগীরা। এই ঘটনার জেরে রাতেই দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। একপক্ষ আরেকপক্ষের ঘরবাড়িতেও আক্রমণ চালিয়ে ভাঙচুর করে। এতে ৯ থেকে ১০ জন লোক আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে নূর মোহাম্মদকে গুরুতর অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথেই মৃত্যুবরণ করেন।
অপর আহত আবদুল আউয়াল সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি মোক্তাদির হোসেন বলেন, ‘দুইপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠিয়েছি। সংঘর্ষে জড়িত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।‘