সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে মসজিদের কাঁঠাল নিলাম নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। আহতের মধ্যে দুই থেকে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
সোমবার (১০ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাজ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন দ্বীন ইসলাম পক্ষের মো. বাবুল মিয়া (৫৮), তিনি হাসনাবাজ গ্রামের মৃত ছুফি মিয়ার ছেলে। একই গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে নুরুল ইসলাম (৪২)। একই গ্রামের জুনাব আলী পক্ষের আব্দুল বাছিতের ছেলে মো. শাহজাহান (৩৬) ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাসনাবাজ গ্রামের মসজিদে এক ব্যাক্তি একটি কাঠাল দান করেন। মসজিদে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে এই কাঠালটি নিলামে তোলা হয় এবং দাম হাকাঁনো হয়। এতে গ্রামের দ্বীন ইসলামের পক্ষের লোকজন দামের কথা শুনা যাচ্ছে না বলে আওয়াজ তুললে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের সুনু মিয়া ও জুনাব আলী গংরা বলে উঠেন মসজিদের ভেতরে অবস্থানকারী সবাই শুনলেও তোমরা কেন শুনতে পাওনি, এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এর জের ধরে সকালে দ্বীন ইসলামের লোকজনের সাথে প্রতিপক্ষ সুনু মিয়া ও জুনাব আলীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এতে দ্বীন ইসলামের পক্ষের বাবুল মিয়া( ৫৮) ও নুরুল ইসলাম (৪২) ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং সুনু মিয়া জুনাব আলীর পক্ষে মো. শাহজাহান মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তিনি মারা যান।
এব্যাপারে জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাছিত সুজন জানান, গতকাল রোববার রাতে এবং আজকে ভোরে -হাসনাবাজ গ্রামে গিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের সাথে আলাদা আলাদাভাবে বৈঠক করে কথা বলেছি। উভয় পক্ষের লোকজন আমাকে আশ্বস্থ করেছিলেন যে কোন পক্ষই মারাামরিতে যাবেন না। এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের শান্ত করে উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে আমি চলে আসার পর শুনতে পাই উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। একটি কাঠাল নিয়ে এমন অনাকাংঙ্খিত ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।
এব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহজনক ৩জনকে আটক করেছে।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম