সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বসতঘর পুড়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গেছে তিনটি পরিবার। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের আসামমুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১০ লাখেরও বেশি আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, রহিদ আলী, রহিদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান ও মৃত ইব্রাহিম আলীর ছেলে ফয়জুর রহমান। ঘরের ইলেক্ট্রনিক শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
হাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যুতের লাইন ব্লাস্ট করে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে নিমিষেই ঘরে থাকা কাপড়, আসবাবপত্র, স্বর্ণালংকার, দলিলদস্তাবেজ, এনআইডি কার্ড, জন্মনিবন্ধন সনদ, নগদ টাকা, ঘরে রাখা ধানসহ যাবতীয় সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ৩ পরিবারের প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, তিনি এবং ফয়জুর রহমান দিনমজুর। তার বাবার আলাদা সংসার। তিন পরিবারে মোট ১৭ জন সদস্য বসবাস করছেন। অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু পুড়ে ছাই হইয়ে যাওয়ায় তারা সবাই এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
আফসোস করে ফইয়জুল বলেন, ‘পড়নের কাপড় ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট রইলো না। আমাদের সব কিছু হারিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত নিশ্চিত করে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে পুলিশ।’
শান্তিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এখান থেকে ঘটনাস্থল অনেক দূর হওয়ায় আমরা দিরাই ফায়ার স্টেশনকে বিষয়টি অবগত করেছি। তবে, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগেই সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। পরে স্থানীয়রা আগুন নিভিয়েছেন।’
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থদের প্রাথমিকভাবে কিছু শুকনা খাবার, নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’