দেশ স্বাধীন হয়েছে অনেকটা আগে। বিজয়ের পতাকা এখন মুক্ত ভাবে ওড়ে। জাতির জনকের সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয় সত্যের পথে। সমাজের অশুভ শক্তিরা, স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো নানা রূপে নানা বর্নে আস্ফালন করে।
এমন বাস্তবতায় শুভ শক্তির উন্মেষের লক্ষ্যে প্রতিবারের মত শহীদ বুদ্ধিজীবী শহিদমিনারের উদ্দেশ্যে আলোর মিছিল করেছে শ্রুতি।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শ্রুতি পুরানলেনস্থ কার্যালয় হতে আলোর মিছিলটি বের হয়। এসময় আলোর সন্ধানী শতশত তরুণ প্রজন্মের কন্ঠে ধ্বনিত হয় ‘ও আলোর পথযাত্রী এ যে রাত্রী এখানে থেমো না।’ শিশু, বৃদ্ধ, নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলে অংশ নেন আলোর মিছিলে।
আয়োজনের শুরুতে ছিল বিজয়ের গান, কবিতা পাঠ এবং মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন। বিজয়ের ৫১ বছর উপলক্ষে এবার ছিল বিশেষ আয়োজন।
এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং বিজয়ের কথামালায় অংশ নেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম সেলিম, সাংস্কৃতিক জোটের গৌতম চক্রবর্তী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, নীলাঞ্জন দাশ টুকু, শ্রুতি সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সদস্যসচিবের স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আবৃত্তিশিল্পী এবং সংগঠক সুকান্ত গুপ্ত।
বিজয়ের কথামালায় বক্তারা বলেন- পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন, শোষণ, নির্যাতনের শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জিত হয়। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এই দিনটি বাঙালি জাতির জীবনে সর্বোচ্চ গৌরবের একটি অবিস্মরণীয় দিন। জীবন দিয়ে যুদ্ধ করে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই বিজয় অর্জিত হয়। যতদিন পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি জাতি থাকবে ততদিন এই দিনটির গুরুত্ব ও সম্মান অক্ষুণ্ন থাকবে। আলোর মিছিলের মাধ্যমে এই প্রজন্ম দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হবে এবং দেশের জন্য নিজেকে আত্মনিয়োগ করবে।
উল্লেখ্য, শ্রুতির আলোর মিছিল দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে নিয়মিত হয়ে আসছে। ঐতিহ্যবাহী আলোর মিছিলে অংশ নেয় প্রগতিশীল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।