লাখাইয়ে উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ৮ গ্রামীণ সড়কের উন্নয়ন কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২১ অক্টোবর) উপজেলার ৪ নম্বর বামৈ ইউনিয়ন এর ২ টি রাস্তা বামৈ খেলু মিয়ার বাড়ি থেকে ভাদিকারা হাবিব মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত মাটির রাস্তা ও বামৈ গরুর বাজার হইতে নোয়াগাঁও পর্যন্ত রাস্তার সম্পন্ন হওয়া কাজের সরজমিন পরিদর্শন ও এর প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে দুদক।
তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন দূর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
এ বিষয়ে বামৈ ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান ও প্রকল্প কমিটির সভাপতি আজাদ হোসেন ফুরুক জানান, আমি এ প্রকল্পের কোন কাজ করিনি। প্রকল্পের কমিটির দেওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছিলেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ। আমি তাঁর নির্দেশনায় দুইটি রাস্তার জন্য দুইটি কমিটি দিয়েছিলাম। আমি রাস্তার কাজ নিজে করিনি।
এ বিষয়ে দূর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, সড়কের উন্নয়ন কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে দুদকে মামলা দায়েরের তদন্তকাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবকটি রাস্তার কাজের তদন্ত কার্যক্রম চলবে। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চজ মাসে উপজেলার বুল্লা, করাব, বামৈ ও মুড়িয়াউক ইউনিয়ন এর ৮ টি রাস্তার উন্নয়ন কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তুলে দুদকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার বামৈ ইউনিয়ন এর নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইকবাল মিয়া।