লাখাইয়ে দু ‘দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) উপজেলার বামৈ ইউনিয়নের কাঠিহারা গ্রামের হাজী আব্দুর রহমান ও এনু মিয়ার মধ্যে সরকারি খাল নিয়ে বিরোধের জেরে সকাল ৮টায় দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হয়।
স্থানীয়রা জানান, কাঠিহারা ফুটবল মাঠের পশ্চিমে হাজী আব্দুর রহমানের নিজস্ব ভূমিতে মাটি ভরাট করে বাড়ী করার উপযোগি করে সেখানেই আরো মাটি ভরাটের কাজ আরম্ভ করার জন্য উদ্যোগ নিলে একই গ্রামের এনু মিয়ার লোকজন ওই জমির পাশে সরকারি খাল দখলে নেওয়ার জন্য পায়তারা করে। বিষয়টি জানতে পেরে হাজী আব্দুর রহমান লাখাই থানায় একটি আবেদন করে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। এরই মাঝে এনু মিয়াসহ তার লোকজন নিয়ে সরকারি খাল দখল করতে গেলে উভয়পক্ষের মাঝে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৭ জন আহত হয়।
আহতরা হলো, মৃত দারোগ আলীর ছেলে শাহ আলম (৩৫), রাসেল (২৫), শাকিব (১৯), সোহেল (৩৩), লিয়াকত আলীর ছেলে সবুজ মিয়া (১৮), জামাল মিয়ার ছেলে মুছাব্বির (১৬), কামরুলের ছেলে মোশাহিদ (২৭)। আহতদের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.এন. মিয়ার নির্দেশে উপ-পরিদর্শক (এস.আই) দেবাশিষ তালুকদার, এস.আই মৃদুল কুমার ভৌমিক, এস.আই) জহির আলী, এস.আই শৈলেশ চন্দ্র দাস, এ.এস.আই মফিজুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলো, কাঠিহারা গ্রামের মৃত আরজত আলীর ছেলে মিছির আলী (৫৫)। মৃত মফিল হোসেনের ছেলে হাজী এনু মিয়া, মৃত আরজত আলীর ছেলে ছিদ্দিক আলী (৫৫), মৃত তোতা মিয়ার ছেলে লেচু মিয়া (৫০), মৃত লাল মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান (৩৮), মৃত রাজা মিয়ার ছেলে ইয়াসিন মিয়া (৩২) ও দারোগ আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪৫)। তাদেরকে হবিগঞ্জ জেলা সদরে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।