লাখাইয়ের জিসান জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সরিষাচাষী

লাখাইয়ের তেলজাতীয় ফসল সরিষা চাষে সফলতার স্মারক হিসেবে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সরিষা চাষীর পুরস্কার পেয়েছেন উপজেলার উদ্যমী কৃষক ফজলে রাব্বি জিসান। তিনি লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়ন মুড়িয়াউক গ্রামের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (৫ জুন) হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (খামারবাড়ি) এ দুপুর বেলা এক জেলার বিভিন্ন উপজেলা সফল সরিষা চাষীদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তার হাতে সনদপত্র তুলে দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মতিউজ্জামান।

লাখাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরিষা চাষে অপার সম্ভাবনাময় অঞ্চল লাখাই মুড়িয়াউক ইউনিয়নের মুড়িয়াউক গ্রামের উদ্যমী কৃষক ফজলে রাব্বি জিসান এ বছর লাখাইয়ে প্রথম বারের মতো বারি -১৮ জাতের সরিষা আবাদ করে কাঙ্ক্ষিত ফলন পেয়েছেন। বারি-১৮ জাতের সরিষা-১৮ তে ইউরিক অ্যাসিডের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তাই এ জাতের সরিষার জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই হিতকর। কেনোলা জাতীয় ফসল সরিষা বারি-১৮ জাতের সরিষা আবাদ করে এর উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করায় জেলায় শ্রেষ্ঠ পুরস্কার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন জিসান।

এ মৌসুমে শাকসবজি ও ফসল চাষীরা ১৫ বিঘা জমিতে বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮ জাতের সরিষা আবাদ করে আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন এবং প্রায় ১ টন সরিষার বীজ সংরক্ষণ করেছে্ন।

এ বিষয়ে কৃষক ফজলে রাব্বি জিসান বলেন, ‘জেলায় প্রথম পুরুষ্কার পেয়ে আমি আবেগে আপ্লুত। আমি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সরিষার নতুন জাত বারি-১৮ আবাদ করেছি। ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। তবে তাতে যে জেলায় শ্রেষ্ঠ হব, তা কখনও ভাবিনি।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন, ‘জনস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কেনোলা নামে পরিচিত বারি -১৮ জাতের সরিষা আবাদ করে সাফল্যের মাধ্যমে ফজলে রাব্বি জিসান লাখাইয়ের জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন। জিসানের এ সাফল্যে অন্য কৃষকরাও অনুপ্রাণিত হবেন।