সদ্য প্রয়াত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষ কৃত্যে এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে লন্ডন ও নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে লন্ডন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটির অবতরণের কথা রয়েছে। সেখানে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের অভ্যর্থনা জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাদিয়া মুনা তাসনিম। টানা ১৯ দিনের সফর শেষে আগামী ৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, আগামীকাল ১৬ সেপ্টেম্বর কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড আহমদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় এবং লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সম্মানে রাজার এক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রাণি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষ কৃত্যে অংশ নেবেন। একই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
ওই দিন জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। ইউএনএইচসিআরের ফিলিপো গ্রান্ডি এবং স্লোলোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সংবর্ধনায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
২১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, বতসোয়ানা ও স্লোভাক প্রজাতন্ত্র এবং জাতিসংঘ আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের টেকসই আবাসন শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।