র‌্যাবের হাতে আটক কে এই অস্ত্রধারী তুহিন?

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী এক কাউন্সিলরপ্রার্থীর বাসার সামনে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আলোচনায় আসা আবুল কালাম আজাদ তুহিন গ্রেফতার হয়েছেন র‌্যাবের হাতে। শুক্রবার মধ্যরাতে তাকে মৌলভীবাজার থেকে আটক করে র‌্যাব-৯ এর একটি দল।

তবে দুধর্ষ সন্ত্রাসী তুহিন এবারই আলোচনায় এসেছেন এমন নয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তুহিন এলাকায় ত্রাস হিসেবে চিহ্নিত। তার বিরুদ্ধে ২০১০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মাদক, অস্ত্র, ছিনতাই, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও প্রতারণার অভিযোগে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানায় ১৮টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ বার। সবশেষ ২০২১ সালে অস্ত্রসহ তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন র‌্যাবের হাতে।

তিনি নগরীর লন্ডনি রোডে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের সাথে বসবাস করে আসছেন। তার স্থায়ী ঠিকানা নোয়াখালীর সেনবাগে। বাবার নাম নুরে আলম। জানা যায়, ২০১১ সালে তুহিন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি মনোনীত হন। তৎকালীন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত তরফদারের গ্রুপ করতেন তিনি। এরপরের দুই কমিটিতে তিনি আর স্থান পাননি। পদ হারানোর পর থেকেই সিসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খানের অনুসারী হন তুহিন।

আফতাবের অনুসারী অবস্থায়ই ২০২১ সালের ১২ মার্চ রাতে লন্ডনি রোড থেকে ১ বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, একটি পাইপগানের ব্যারেল, একটি অস্ত্রের বাট ও একটি রামদাসহ গ্রেফতার হন র‌্যাবের হাতে। জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়েই ফের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেন।

সর্বশেষ গত ৮ জুন কাউন্সিলর আফতাবের পক্ষ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সায়ীদ মো. আবদুল্লাহ’র বাসার সামনে অস্ত্র নিয়ে হানা দেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন এই সন্ত্রাসী। এই ঘটনায় কাউন্সিলর আফতাব খানের প্রার্থীতা বাতিল করে ইসি।