বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপে থেমে গেল শেষ আটে। বদলি হিসেবে নেমে রেকর্ড গড়া ম্যাচে হারের যন্ত্রণা নিয়ে মাঠ ছাড়েন ফুটবলের মহানায়ক।
প্রথমার্ধে মূল একাদশে সুযোগ না পাওয়া নিয়মিত অধিনায়ক রোনালদো দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই একটি রেকর্ড গড়েন। স্পর্শ করেন কুয়েতের ফরোয়ার্ড বাদের আল-মুতাওয়ার খেলা সর্বোচ্চ ম্যাচের (১৯৬) রেকর্ড।
এদিকে সুইজারল্যান্ড ম্যাচের মতোই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষেও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে পর্তুগালের প্রথম একাদশে রাখেননি কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। ম্যাচের মধ্যেই তাকে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে।
কিন্তু বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরও সান্তোস জানান, রোনালদোকে বসানোর জন্য তার কোনো আক্ষেপ নেই।
৫১ মিনিটের মাথায় রোনাল্ডোকে নামিয়েছিলেন সান্তোস। মাঠে সংযুক্তি সময় ধরে প্রায় ৪৫ মিনিট থাকলেও গোল করে সমতা ফেরাতে পারেননি রোনালদো।
সাংবাদিক বৈঠকে সান্তোস বলেন, রোনালদোকে বসানোর জন্য কোনো আক্ষেপ নেই আমার। ভেবেচিন্তে যদি দল না গঠন করি, তাহলে কিছুই হবে না। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে যে দলটা দারুণ খেলেছে, সেটিই খেলিয়েছি। সেই দল মরক্কোর বিপক্ষে বদলানোর কোনো কারণ ছিল না।
সান্তোস বলেন, কৌশলের খাতিরে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু হৃদয় দিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে চলবে না। মস্তিষ্ক কাজে লাগিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রোনালদো আর ভালো ফুটবলার নয়, এমন কথা কখনো বলছি না। ওকে বসানোর সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
হেরে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ফুটবলে কখনো কখনো ভাগ্যের প্রয়োজন হয় জিততে জিততে গেলে। আমরা বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু জয়ের জন্য যে ভাগ্যটা আমাদের দরকার, সেটিই ছিল না।