গত কয়েক বছরের মতো এ বছরও পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছে গরমের মধ্যে। অনেকের ধারণা, রোজা রেখে শরীরচর্চা করা একেবারেই উচিত নয়। এটা ঠিক নয়। তবে রোজা থেকে অতিরিক্ত ব্যয়াম করা ঠিক নয়। এই সময় হালকা ধরনের কিছু ব্যায়াম যেমন- হাঁটাহাটি, হালকা জগিং, সাইক্লিং, হালকা ভারত্তোলন ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন।
সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজনীয় হলেও রোজার মাসে এই রুটিন কিছুটা আলাদা হবে। যেমন-
১. দিনের শেষ ভাগে যখন তাপমাত্রা কমে যাবে তখন হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সূর্যাস্তের অন্তত দেড় ঘণ্টা আগে রোজাদাররা ব্যায়াম করতে পারেন। সেক্ষেত্রে হাঁটাহাঁটি ,হালকা জগিং কিংবা ফ্রি হাণ্ড এক্সসারসাইজ করাই ভালো।
২. রোজা থাকা অবস্থার চেয়ে ইফতারির পর ব্যায়াম করাই বেশি ভালো। তবে ইফতারির পর পর ভরা পেটে ব্যায়াম করা ঠিক নয়। ইফতার খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পর ব্যায়াম করতে পারেন। ইফতার করার পর ব্যায়াম করতে চাইলে ইফতারির সময় অতিরিক্ত খাবার খাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানিও পান করা প্রয়োজন।
৩. যেসব রোজদার অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন তারা রাত ১১টা থেকে ২টার মধ্যে ব্যায়ামের সময় নির্ধারণ করতে পারেন। বিকেলের দিকে যদি বিশ্রাম নেওয়ার সময় পান তাহলে এ সময় ব্যায়াম করতে পারেন।
৪. যারা সেহরির সময় একটু আগে ওঠেন তারা সেহেরি খাওয়ার আগে ব্যায়াম করতে পারেন। এ সময় আগের রাতের খাবার থেকে শরীরে যেমন শক্তি পাওয়া যায় তেমনি পাকস্থলীও খালি থাকে। ব্যায়াম শেষে এ সময় পরিপূর্ণভাবে খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন। এতে সারাদিন শরীরও তরতাজা থাকবে।