দুই সপ্তাহ পর ৫০ পয়সা কমিয়ে প্রবাসিদের রেমিটেন্স আনার দর নির্ধারণ করা হলো ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা টাকা, যা আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হচ্ছে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ ফরেইন অ্যাক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি।
অন্যান্য দরে কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। আর আমদানি খরচের দরটিই হবে আন্তঃব্যাংকে ডলার বিনিময় দর। আমদানি, রপ্তানিসহ অন্যান্য দর আগের মতোই থাকবে।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান আফজাল করিম বলেন, ‘ডলারের ওপর চাপ কমে আসায় নতুন দর নির্ধারণ করা হলো। যেসব ব্যাংকের আগাম কেনা রয়েছে তারা ডলারের দর সমন্বয় করবে এই সময়ের মধ্যে।’
ব্যাংকের নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেনসহ শীর্ষ ব্যাংকাররা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, আমদানিতে ডলারের দর আগের মতোই অর্থাৎ রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় নগদায়ন করার ওয়েটড গড় হার। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ গড়হারের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ টাকা বেশি নিতে পারবে। অর্থাৎ স্প্রেড সীমা হবে ১ টাকা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি হবে আন্তঃব্যাংকে ডলার বিনিময় দর।
এর আগে, গত ১১ সেপ্টেম্বর মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত মেনে বিদেশি অ্যাক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ডলার কেনাবেচার অভিন্ন দর ঘোষণা করে বাংলাদেশ ফরেইন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন-বাফেদা এবং ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি।
দেশে আসা রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে বিনিময় হার নিধারন করা হয়েছিল ১০৮ টাকা। আর রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম ঠিক করা হয় সর্বোচ্চ ৯৯ টাকা।
ডলারের এই বিনিময় হার ঘোষণা করে আফজাল করিম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী এই হারে সময় পরিবর্তন আনা হলো।