সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, আর্তমানবতার সেবায় রেডক্রিসেন্ট যে কাজ করে তা অতুলনীয়। রেডক্রিসেন্ট মানুষের আস্থার জায়গা। প্রতিটি কাজ শুরুর আগে যে প্ল্যান করা হয় তা আমাদেরকে (সিটি কর্পোরেশন) হস্তান্তর করতে হবে। পরস্পরের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। প্রতিটি কাজের সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজে সফলতা আসবে। রেডক্রিসেন্ট বিশ্বব্যাপী দুর্যোগ মোকাবেলায় যে কাজ করে তা আন্তজার্তিক অন্য কোনো সংগঠন করতে পারে না।
বুধবার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ড্যানিশ রেডক্রস, আইএফআরসি ও জার্মান রেডক্রস এর সহযোগিতায় পাইলট প্রোগ্রাম্যাটিক পার্টনারশিপ (পিপিপি) মানবিক ও স্বাস্থ্য সংকটে স্থানীয় পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার, সিলেট আবহাওয়া অফিসের পরিচালক আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন, কাউন্সিলর সিকন্দর আলী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদ আহমদ।
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উপ-পরিচালক আব্দুস সালামের পরিচালনায় কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ রেনু, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সোয়েব আহমদ, সাংবাদিক আব্দুল বাতিন ফয়সল, পাইলট প্রোগ্রাম্যাটিক পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের জার্মান রেডক্রসের প্রতিনিধি জালিল লোন ও ড্যানিম রেডক্রস প্রতিনিধি এ্যালেক্স সেসিমবও। কর্মশালায় পিপিপি কর্মসূচি উপস্থাপন করেন পিপিপি প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. মহিউদ্দিন।
কর্মশালায় জানানো হয়, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১২, ২৩, ২৬, ৩৭ ও ৩৯ এই ৫টি ওয়ার্ডে ৩ বছরব্যাপী দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, মহামারী ও অতিমারী প্রস্তুতির সাড়া প্রদান এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে যোগাযোগ কমিউনিটি পর্যায়ে অংশগ্রহণ ও দায়বদ্ধতা বিষয়ে কমিউনিটিকে ডেভেলপ করা হবে। গত মে মাস থেকে শুরু হওয়া এই প্রোগ্রামে ৩৫ হাজার মানুষ উপকার লাভ করবে।
