রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে সিলেটের জয়

সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মর্তুজার লড়াইটা ছিল দেখার মতোই। পুরো ম্যাচজুড়ে দুদলই লড়েছে সমানে সমান। আর তাতে ম্যাচের নিষ্পত্তি হতে অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ বল পর্যন্ত। উত্তেজনার ম্যাচে শেষ পর্যন্ত স্নায়ুর লড়াইয়ে জিতেছে মাশরাফির দল। হাইভোল্টেজ ম্যাচে সাকিব আল হাসানের বরিশালকে ২ রানে হারিয়েছে মাশরাফির সিলেট।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিপিএলের ২৩ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ফরচুন বরিশাল ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। হাইভোল্টেজ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ১৭৩ রান করে সিলেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭১ রানে থামে বরিশাল। আর তাতে আসরে নিজেদের ষষ্ঠ জয়টা পেয়ে পায় সিলেট।

এই জয়ে ৭ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকছে সিলেট। সমান ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে মাশরাফিদের পরেই অবস্থান সাকিবের বরিশালের।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে সিলেট দল। শুরুতে বিদায় নেন জাকির হাসান কোনো রান না করেই। এরপর আবারো সিলেট শিবিরে আঘাত হানেন ওয়াসিম, ফিরিয়ে দেন তৌহিদ হৃদয়কে ৪ রান। দলীয় ১৫ রানে সিলেটের তারকা ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকেও গোল্ডেন ডাকে ফেরান ওয়াসিম।

তবে এরপরের গল্পটা শুধু শান্ত-টম মরিসের। কেননা এই জুটি থেকে তারা সংগ্রহ করে ৮১ রান। ৪০ রানে মরিসকে ফিরিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। তখনও অবিচল ছিলেন শান্ত। বরিশাল বোলারদের করেছেন একের পর এক সীমানা ছাড়া। শেষ দিকে থিসারা পেরেরা করেন ২১ রান।

শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি না হলেও শান্ত অপরাজিত থাকেন ৬৬ বল খেলে ৮৯ রানে। বরিশালের হয়ে মোহাম্মদ ওয়াসিম নেন ৩ উইকেট এছাড়া সাকিব আল হাসান এবং কামরুল ইসলাম রাব্বি নেন ১ উইকেট করে।

১৭৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ভালো শুরুই পেয়েছিল বরিশাল। ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে সাইফ ফেরেন নবাগত তানজিম হাসান সাকিবের বলে ক্যাচ হয়ে। এনামুল হক বিজয়কেও দ্রুত ফিরিয়েছেন তানজিম।

চার নম্বরে নেমে সাকিব-ইব্রাহিম মিলে গড়েন ৬১ রানের জুটি। দুজনকেই একই ওভারে বোল্ড করে খেলার মোড় কিছুটা ঘুরিয়ে দেন রেজাউর রহমান রাজা। তবে লড়াই থামেনি। মাশরাফির এক ওভারে তিন ছক্কা মেরে খেলা আবার জমিয়ে তোলেন করিম জানাত।

জানাতকে ফিরিয়ে কিছুটা স্বস্তি এনে দেন আমির। তবে ১৮ তম ওভারে ২০ রান দিয়ে চাপটা আবার বেড়ে আয় সিলেটের বোলারদের ওপর। শেষ ওভারে ইফতিখারকে আউট করে পাল্টা আঘাত দেন রাজা। পরের বলে রান আউট হয়ে ফেরেন মিরাজও। নাটক তখনও শেষ হয়নি।

শেষ ২ বলে ১৩ রান দরকার ছিল সিলেটের। প্রথম বলে ৬ মেরে ড্রয়ের সম্ভাবনাটা জিইয়ে রাখেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। কিন্তু শেষ বলে ৪ রানের বেশি নিতে পারেননি পাকিস্তানের এই পেসার। ১৭১ রানে থামে বরিশালের ইনিংস।