রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলা

‘অর্ধপাগল ও অর্ধশিক্ষিত বলায়’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গিয়ে আইনজীবী আবদুল্লাহ মনসুর রিপনের মাধ্যমে তিনি এই মামলার আবেদন করেন।

বাদীর জবানবন্দি শুনে গোয়েন্দা পুলিশকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন মহানগর হাকিম সাইফুল ইসলাম এবং আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেন গোয়েন্দা পুলিশকে।

এর আগে রোববার রিজভীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন হিরো আলম। গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ তাকে মধ্যাহ্ন ভোজ করান। অভিযোগনামা হাতে হিরো আলমের ছবি তিনি পরে ফেইসবুকেও দেন। তবে মামলা না নিয়ে হিরো আলমকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন ডিবি কর্মকর্তারা।

ডিবি কার্যালয় থেকে রোববারই মামলা করতে আদালতের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন হিরো আলম। তবে আদালতে না গিয়ে পাশের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় গাড়িতে বসেছিলেন তিনি। সেখানেই আইনজীবীর সঙ্গে মামলার বিষয়ে পরামর্শ করেন। পরে সোমবার সকালে আদালতে এসে মামলার আবেদন করেন।

ডিবি কার্যালয়ে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ অগাস্ট সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও দেখেন হিরো আলম, যেখানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হাজারো জনতার সামনে বক্তব্যে তার প্রসঙ্গ টানেন।

“বক্তব্য প্রদানকালে বলেন যে, ‘হিরো আলমের মত একটা অর্ধ পাগল, অর্ধ শিক্ষিত, একটা লোক, সে নির্বাচন করছে, মানে রুচি কতটা বিকৃত হলে পরে এরা এ কাজ করতে পারে।”

হিরো আলম বলছেন, ওই ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তে ভাইরাল হয় ।

“আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ২০১৮ সালে বগুড়া-০৪ আসন থেকে এবং ২০২৩ সালে বগুড়া ০৪ আসন ও বগুড়া ০৬ আসন এবং ঢাকা ১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি । বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের চুলচেরা বিশ্লেষণে আমি একজন সুস্থ, নিবার্চন করার জন্য উপযুক্ত নাগরিক হিসাবে তিনবার প্রমাণিত হয়েছি।

“তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান প্রচার করি। যাতে আমার অসংখ্যা ভক্তবৃন্দ আছে। বর্ণিত বক্তব্যের কারণে আমি হতাশা অনুভব করছি, আমার ভক্তবৃন্দের মাঝেও যথেষ্ট হতাশাসহ ক্ষোভ বিরাজ করছে।”

হিরো আলম লিখেছেন, “জনাব রুহুল কবির রিজভীর আক্রমণাত্মক মানহানিকর বক্তব্যের কারণে আমি মান-সম্মানহানিসহ সামাজিকভাবে চরম হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি।