রাষ্ট্রপতির ছেলের ড্রাইভারকে মারধর, জবি ছাত্রলীগ কর্মীর নামে মামলা

রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়ির ড্রাইভারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। তার নাম কৌশিক সরকার সাম্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় সোমবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় ওয়ারী থানায় অভিযুক্তসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ড্রাইভার নজরুল ইসলাম। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন হাওলাদার।

জানা যায়, মারধরের শিকার ওই ব্যক্তি রাষ্ট্রপতির ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষারের গাড়ির ড্রাইভার। রবিবার ওয়ারিতে অবস্থিত জবির শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের কাছে ড্রাইভার অভিযুক্তকে সাইড দিতে বললে ঘটনার সূত্রপাত হয়। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ড্রাইভারকে মারধর করেন। পরে সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলে ধরে নিয়ে কয়েকজন মিলে আরেক দফায় তাকে মারধর করা হয়।

অভিযুক্ত কৌশিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের কর্মী। তিনি ফেসবুক বায়োডাটায়ও নিজেকে শাখা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ফেসবুক ওয়ালে সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসেনের সঙ্গে তার ছবি ছাড়াও নিয়মিত ছাত্রলীগ-কেন্দ্রিক পোস্ট শেয়ার করতে দেখা যায়। শাখা ছাত্রলীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতাও তার রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসেনের মোবাইল ফোন নম্বরে বারবার কল করা হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়।

মামলার বিষয়ে ওসি কবীর হোসেন হাওলাদার বলেন, গত পরশুর ঘটনা, রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়ির ড্রাইভার গাড়ি ঘোরাচ্ছিলেন। ছেলেটা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। ড্রাইভার বলছেন, ছেলেটার গাঁয়ে লাগেওনি, হর্ন দিয়েছিলেন সরে যাওয়ার জন্য। ছেলেটা প্রথমে তাকে থুথু দেয় ও মারধর করে। পরে সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলে নিয়ে চার-পাঁচ জন মিলে ফের মারধর করে। কাল সন্ধ্যার পর মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত করবো, তারপর পদক্ষেপ নেবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। থানার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’

এর আগে ২০১৯ সালে অভিযুক্ত কৌশিক সরকার সাম্য সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হয়েছিলেন।