কাল ১০ জিলহজ, রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় সারা দেশে উদযাপিত হবে ঈদ।
সকালে ঈদের নামাজ আদায় করবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এরপর সামর্থ্যবানরা দেবেন পশু কুরবানি। ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। এতে নামাজ আদায় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি ঈদগাহে পৌঁছলে প্রধান বিচারপতি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রসহ সংশ্লিষ্টরা তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
এছাড়া মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এখানে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি ঈদগাহে মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। তবে প্রতিকূল আবহাওয়া বা অন্য কোনো কারণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতি সকাল ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল আজহার মোট পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত ৯টায়, চতুর্থ জামাত ১০টায় ও পঞ্চম জামাত ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের প্রথম জামাত সকাল ৮টায় শুরু হবে এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে এ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া রাজধানীর পল্লবী থানার ২ নম্বর ওয়ার্ডের হারুণ মোল্লাহ ঈদগাহ মাঠে সকাল ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ-সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ।
প্রায় ছয় হাজার বছর আগে মুসলিম মিল্লাতের পিতা হজরত ইব্রাহিম ও তার ছেলে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত আল্লাহর নির্দেশ মানার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ঘটনা পবিত্র কুরবানি। পিতা-পুত্র আল্লাহর নির্দেশ মানার ক্ষেত্রে শতভাগ আত্মসমর্পণকারী। সেই ঐতিহাসিক ঘটনাকে বিশ্ব মুসলিমের জন্য স্মারক করে দিলেন মহান আল্লাহ।
কাল সারা দেশে সামর্থ্যবানরা কুরবানির পশু জবাই করবেন। নিজেরা খাবেন এবং আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীকে উপহার ও হতদরিদ্রদের মাংস দান করবেন। ফলে ঈদে সবার মাঝে একটি সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে উঠবে।
প্রতিবছরের মতো এবারও দেশে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ পশু জবাই হবে। রাজধানীসহ দেশে আজও কুরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় চলছে। ইতোমধ্যে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ছেড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ঘরে ঘরে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।