রাত পোহালেই গৌরবের দিন

মাওয়ায় উৎসবের আমেজ। মুন্সিগঞ্জ সেজেছে বিজয়ের রংয়ে। সে রং ছাড়াচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল থেকে সারা দেশে। কত আলোচনা, কত বিশ্লেষণের দিন পেরিয়ে সেই পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধনের মিনিট, সেকেন্ড গুনছে। রাত পোহালে গৌরবের মুহূর্ত।

শনিবার (২৫ জুন) সকালে সেতুটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৬ জুন ভোরে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বহুল প্রত্যাশিত এই মেগাস্ট্রাকচার।

পদ্মা সেতু চালু হলে ফেরি পারাপারের ভোগান্তি থাকবে না দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের জেলা সিলেটের জাফলং থেকে খুলনায় যাতায়াতের ক্ষেত্রেও। এই পথের দূরত্ব প্রায় ৫৬৫ কিলোমিটার। ২০০৩ সালে ভৈরব ও আশুগঞ্জের মধ্যে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু চালুর পর সিলেট থেকে ঢাকায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়। শনিবার পদ্মা সেতু চালু হলে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ির ফেরি পারাপারও ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিতে পারে।

ফেরি মানেই ঘাটে ভোগান্তি, ধীরগতির নদী পারাপার, ঘন কুয়াশা, ঝড় ও দুর্যোগে যাত্রা বাতিল এবং বেশি স্রোত অথবা নদীর নাব্যতাসংকটে ফেরি অচল। ঈদ কিংবা বড় কোনো ছুটিতে ভোগান্তি বাড়ে কয়েক গুণ।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোতে একে একে সেতু হয়েছে। মানুষের যোগাযোগ সহজ হয়েছে। পণ্য পরিবহন গতি পেয়েছে। বড় বাধা ছিল পদ্মা পারাপার। এই নদী পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলায় যাতায়াতে ফেরিঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো মানুষকে, পণ্যবাহী ট্রাককে।

রবিবার থেকে সেই অপেক্ষার অবসান হচ্ছে।