রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল খোলা দেখলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া শুরু হয়েছে। জ্বালানি সঙ্কটের এই সময়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মহামারির মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্ব বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে জ্বালানি আমদানি কমিয়ে দেওয়ায় কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এ অবস্থা মোকাবিলায় বিদ্যুতের উৎপাদনের সঙ্গে চাহিদার সমন্বয় করতে আজ থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। কোথায়, কখন লোডশেডিং হবে, তার তালিকা এবং সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশে গতকাল (সোমবার) থেকেই স্থগিত করা হয়েছে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন। এ ছাড়া এখন থেকে সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রল পাম্প। এমন বিভিন্ন সিদ্ধান্তের পাশাপাশি অফিসের সময়সূচি দুই ঘণ্টা কমানোর চিন্তা চলছে।
পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ রাখা, আলোকসজ্জা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে গতকাল (সোমবার) নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। গতকাল বিকালে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ না করা হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।এরপর রাত থেকেই অভিযান শুরু হয়েছে বলে মঙ্গলবার বিকালে নিজের ফেসবুক পেজে জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, ‘রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল খোলা থাকলে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে মনিটর করা হবে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে। গতকাল সোমবার রাত থেকেই এই অভিযান শুরু করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।গতকাল বায়তুল মোকাররম, দৈনিক বাংলা, পল্টন, ফকিরাপুলসহ বেশ কিছু এলাকায় অভিযান পরিচালিত করে ডিপিডিসির টিম। তারা প্রথমে মাইকে লাইট বন্ধ করার অনুরোধ করেন। এরপরও যারা বন্ধ করেনি তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।’
এই সতর্কবার্তা সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী সবাইকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।