রাজনৈতিক দলগুলোকে সাহস করে মাঠে থাকার পাশাপাশি নির্বাচনে দৃঢ়ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) নির্বাচন ভবনে পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সংলাপে বসে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সর্বাত্মক চেষ্টা করব। আপনারাও (পর্যবেক্ষক) চেষ্টা করেন যেন সবাই অংশ নেয়। যদি অংশগ্রহণমূলক না হয়, তবে প্রকৃত অর্থে নির্বাচন হয় না। সেটা ধরেন ২০০ আসনে যদি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হয়ে যায়, সেটার লেজিটেমেসি (বৈধতা) অনেক কমে যাবে।
‘নির্বাচনে প্রতিযোগী প্রত্যাশিত, অংশগ্রহণ প্রত্যাশিত। এবং নির্বাচনে দলগুলোকে বলব তাদের সাহস করে এগিয়ে আসতে হবে। দৃঢ়ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। ’ যোগ করেন সিইসি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের জনসংখ্যা জনসংখ্যা ১৮ কোটি। এর মধ্যে ১১ কোটির ৩২ লাখ ভোটার আছে। ভৌগলিকভাবে মনে হয় ছোট। কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে বিশাল। এক্ষেত্রে নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটা সংকট হয়। দলের যে ‘আর্মিগুলো’, তারাও কিন্তু শক্তিশালী। তারাই ভোটকেন্দ্রে কিন্তু সমস্যার সৃষ্টি করবে। ওদের যদি আমাদের নিউট্রলাইজ (নিষ্ক্রিয়) করতে হয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মোতায়েন বাড়াতে হবে। সেটা একটা সুযোগ দিতে পারে যদি আমরা ভালো নির্বাচন করতে পারি। সরকারের একটা সহযোগিতা সেদিক থেকে থাকবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সরকার কিন্তু সরকার। সরকার এবং তার পেছনে যে দল; সরকারকেও আমরা বলবো তারা যেন এটা অনুধাবণ করেন। নির্বাচনের সময় সরকার আমাদের সহযোগিতা করতে হবে সরকার হিসেবে। দল আর সরকারের মধ্যে পার্থক্য আছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না থাকলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে না। মাঠে সব দল থাকতে হবে। বিরোধী দল যদি মাঠে না থাকে তাহলে প্রত্যাশিত যে ভারসাম্য; নির্বাচনটা শুধু আমি নিয়ন্ত্রণ করবো না, পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করবে না, দলরা নিয়ন্ত্রণ করবে। প্রতিদ্বন্দ্বি দলগুলো যদি দক্ষতার সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেয়, তাহলে প্রতিটি কেন্দ্রে একটি ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। এই ভারসাম্যটাই নির্বাচনের স্বচ্ছতা অনেকটা নির্ধারণ করে দিতে পারে। সেই জিনিসটা খুব গুরত্বপূর্ণ।
স্থানীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, দলীয়ভাবে ভোট হওয়ায় সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সেখান থেকে আমাদের ওঠে আসা উচিত।
পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আপনারা সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে দলনিরপেক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। আমরা কিন্তু ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করব। দ্রুত আপনারা ভোটের মূল্যায়ন পাঠাবেন। সে ক্ষেত্রে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারব।
বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আমন্ত্রিত ৩২ সংস্থার ২৬ পর্যবেক্ষক সংলাপে অংশ নেন।