আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনৈতিক নীতিমালায় বেসরকারি খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, রফতানি খাতকে আরও প্রসারিত করতে সরকার দীর্ঘমেয়াদী প্রণোদনা প্রদান করবে।
রোববার (১৩ নভেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতিকারক ও রফতানিকারক সমিতি আয়োজিত ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
প্রথমবারের মতো এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনীতে বিদেশি ক্রেতারা অংশ নেবেন।
বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং করার পাশাপাশি বাংলাদেশের পোশাক খাত সম্পর্কে ক্রেতাদের স্বচ্ছ ধারণা দিতে এ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানায় বিজিএমইএ।
করোনাকালে পোশাকখাতে প্রণোদনা দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রফতানি খাতে জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে পোশাক রফতানি খাত। করোনাকালীন সময়ে বৈশ্বিক মন্দা রফতানি খাত শক্তভাবে মোকাবেলা করেছে। আর তা সম্ভব হয়েছে সরকারের প্রণোদনার কারণে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেইড ইন বাংলাদেশের কারণে পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হওয়ার পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযুক্ত মানব সম্পদ গড়ে তোলায় জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শিল্পকারখানাকে পরিবেশবান্ধব হওয়ার তাগিদ দেন। বর্তমান সরকার মেহনতী মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারি সারাবিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছিল। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। আমি জানি, আমাদের ব্যবসায়ীরা অনেক উদ্বিগ্ন ছিলেন। সেই সময় আওয়ামী লীগ সরকার পদক্ষেপ নেয়। তখন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার সুফল এখন আমরা পাচ্ছি। সকল বাধা অতিক্রম করে ব্যবসা-বাণিজ্য এখন চলছে।
সরকারপ্রধান বলেন, তৈরি পোষাক রফতানি প্রবৃদ্ধি যাতে অব্যাহত থাকে, সেজন্য নগদ অর্থ সহায়তা ও অন্যান্য সুবিধাও আমরা প্রদান করেছি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ওয়ারহাউস সুবিধা, বিনা শুল্কে কাঁচামাল আমদানি সুবিধা, ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র খোলার সুবিধা, হ্রাসকৃত শুল্কে মেশিনারিজ আমদানি, রফতানিমুখী শিল্পে অনুকূলে এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (ইডিএফ) আমরা রিজার্ভের টাকা দিয়েই করে দিয়েছি।