সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘এই অঞ্চলে আমি ঘুরে দেখলাম, সারা বাংলাদেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসলেও এখানে তা দেখতে পাইনি। এবারের নৌকার মনোনীত প্রার্থী রনজিত সরকার নির্বাচিত হলে শুধু এই আসনের উন্নয়ন হবে না, সমগ্র সুনামগঞ্জে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে।
মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী রনজিত চন্দ্র সরকারের সমর্থনে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আপনাদের তাহিরপুরের সন্তান রনজিত সরকারের নেতৃত্ব আমি নিজেও সিলেটে ছাত্ররাজনীতি করেছি। এই রনজিত সরকার তৎকালীন জামাত-বিএনপি আমলে রোষানলে পড়ে একাধিকবার হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। কারাগারে গেছেন। তবুও দলের দুর্দিনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে গেছেন।’
মেয়র বলেন, ‘দল আজকে ছাত্রলীগ থেকে বেড়ে উঠা তৃণমূলের একজন কর্মী হিসেবে রনজিত সরকারকে নৌকা প্রতীক দিয়ে সুনামগঞ্জ-১ আসনে পাঠিয়েছেন। আপনাদের সন্তানকে জননেত্রীর বিশ্বস্ত হাতিয়ার হিসেবে সংসদে পাঠানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। ৭ তারিখ ভোটের মাধ্যমে রনজিত সরকারকে বিজয়ী করে জননেত্রীকে নৌকা উপহার দিন।’
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট বলেন, জননেত্রী সিলেটের জনসভায় বলে গেছেন নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। নৌকার বিপক্ষে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা যাবে না। সম্প্রতি কতিপয় ব্যক্তিরা সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিচ্ছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন আমি তাদের ধিক্কার জানাই। সুনামগঞ্জের রাজনীতিকে কলুষিত করবেন না। আর যারা উস্কানিমূলক এসব কথাবার্তা বলছেন, নির্বাচনের পর তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন বলেন, ৭ তারিখের নির্বাচনে প্রতিটি সেন্টারে পাহারা বসাতে হবে। যেনো কোনো দুর্বৃত্ত আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রনজিত সরকারের ভোট চুরি করতে না পারে।
তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হোসেন খাঁন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর এর সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল করিম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাসরিন সুলতানা দীপা, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে প্রমুখ।