‘রণেভঙ্গ’ দেয়া মিসবাহ সিরাজের বাসায় ড. মোমেন

আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সকালে স্বপরিবারে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের ফাজিলচিস্তের বাসভবনে হাজির হন ড. মোমেন। এসময় মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।

সৌজন্য সাক্ষাতের পর গণমাধ্যমকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ আওয়ামী লীগের প্রতি তাঁর আনুগত্য দেখিয়ে এবং আমাকে ও আমার পরিবারের প্রতি সন্মান জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তাই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাতে আজকে আসা।

তিনি আরো বলেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন-আদর্শকে বুকে ধারণ করে আওয়ামী লীগ করেছেন। এজন্য তাকে অনেক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছেন, জেল খেটেছেন। কিন্তু কখনো আদর্শচ্যুত হননি বরং নৌকাকে শক্তিশালী করতে, জয়যুক্ত করতে সারাজীবন কাজ করেছেন। আগামী নির্বাচনে নৌকাকে জয়যুক্ত করতে আমরা একসাথে কাজ করব।

আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, আমি আজীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে এসেছি। তাই ব্যক্তিস্বার্থে নৌকার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে জলাঞ্জলি দিতে চাইনা। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ড. আব্দুল মোমেনকে নৌকার প্রার্থী করেছেন। তাই আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে আমার দায়িত্ব নৌকার প্রার্থীকে জয়যুক্ত করা। ইনশাল্লাহ আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিতে একসাথে পথ চলব।

এসময় অন্যান্যে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিনী সেলিনা মোমেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের সহধর্মিনী হেলেন বেগম, সহোদর সাংবাদিক মো. শফিউল ইসলাম শফি, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলেন আহমদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত করর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল প্রমুখ।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। পরে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি। তবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ১৭ ডিসেম্বর তিনি তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে ২০১৮ সালেও সিলেটের একাধিক আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মিসবাহ সিরাজ। তবে প্রতিবারই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে তাকে।