সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ যেমন রয়েছে, সম্ভাবনাও প্রচুর। সেজন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকে শিক্ষার্থীদের সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সম্ভাবনাসমূহ কাজে লাগানোর প্রস্তুতি নিতে হবে। সকল স্তরের কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রবেশাধিকারের ফলেই বাংলাদেশ অদম্য গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। যোগ্যতা থাকলে যেকোনো পেশায় প্রবেশে নারী কিংবা পুরুষ পরিচয় বাধা নয়।’
তিনি বলেন, সিলেটের উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা স্তরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। অনেকেই সঠিক তথ্য না জেনে ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা এবং দক্ষতা অর্জন না করে পাশ্চাত্য দেশসমূহে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন। অথচ উন্নত দেশসমূহের শিক্ষা ও কর্ম সবসময় যোগ্য ও দক্ষদের জন্য অবারিত।’
রোববার (অক্টোবর) সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সিলেট উইমেন্স মডেল কলেজের উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এডুকেশন এন্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট (ইএসডি) ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ লস্করের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র লেকচারার স্নিগ্ধা চক্রবর্তী ও লেকচারার হেলাল হামামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রাক্তন প্রধান প্রফেসর ড. জায়েদা শারমিন। বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াদুদ তপাদার, আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা মাজেদ আহমদ চঞ্চল, উইমেন্স মডেল কলেজের চিফ একাডেমিক কোর্ডিনেটর ও সিনিয়র লেকচারার জাকিয়া সুলতানা, সিনিয়র লেকচারার মৌসুমী আক্তার খানম, লেকচারার কাজী মাহবুবুল আলম মঞ্জুর, শিক্ষার্থী চৌধুরী মাহজাবিন হক মিম প্রমুখ।
কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা থেকে পাঠ করেন যথাক্রমে ইসলামের ইতিহাস ও নৈতিক শিক্ষার লেকচারার মামুনুর রশিদ ও ইংরেজি বিভাগের লেকচারার আলোক দেবনাথ।
অনুষ্ঠানে উইমেন্স মডেল কলেজের বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় এ বছর ভর্তি হওয়া ২৫০ জন শিক্ষার্থী ও গতবছরের শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী প্রদান এবং ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। পরে কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।