যেসব দেশ বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দেবে বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে কোনো পণ্য নেবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন যে, যারা আমাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে, তাদের থেকে আমরা কোনো পণ্য কিনব না। এটা প্রধানমন্ত্রীর নিজের কথা। আন্তর্জাতিক বিশ্বে যে টানাপড়েন আছে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের যে অবস্থা… গাজাতে যে হামলা চলছে, সত্যি কথা বলতে সেখানে গণহত্যা চলছে। ইউক্রেনের প্রশ্নেও আমেরিকার যে ফান্ড এবং অস্ত্র সরবরাহের যে অবাধ একটা সুযোগ ছিল, সেটি এখন তাদের কংগ্রেসে প্রচণ্ড বাঁধার সম্মুখীন। সেটি আজকেও আমরা খবরে দেখলাম।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় অনেকগুলো বিবৃতি দেওয়ার একটা ব্যাপার ছিল। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশ এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের মতের সঙ্গে বিরূপ বক্তব্য দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে টানাপড়েন আছে। বিদেশে আমারও বন্ধুহীন নই, আমাদেরও বন্ধু আছে। আমাদের বন্ধুরাও বাংলাদেশের খোঁজ-খবর রাখে। সেসব বিদেশিরাও জানেন, সাংবিধানিক রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্বাচন করছেন এবং নির্বাচনের পথে হাঁটছেন। এর কারণ হলো দেশটা যেন আবদ্ধে ডুবে না যায়।
জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে নির্বাচনমুখী যেসব রাজনৈতিক দল আছে; যাদের সঙ্গে আগে আমাদের জোট ছিল-মহাজোট ছিল, তাদের সঙ্গে আমরা আমাদের সহযোগিতা, আমাদের সম্পর্ক আরও জোরদার করার তাগিদ অনুভব করছি। যে কারণে ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, এই আলোচনার মূল বিষয়টা ছিল যে, নির্বাচনটাকে অবাধ, শন্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু করার জন্য যারা নির্বাচনমুখী, তাদের নিয়ে আমরা সমন্বিতভাবে-ঐক্যবদ্ধভাবে গুপ্ত হামলা, নাশকতা, নির্বাচনবিরোধী অপকর্মকে আমরা প্রতিহত করব ভোটারদের নিয়ে। এটাই আসলে আমাদের আলাপ-আলোচনার মূল বিষয়; যেটা রাজনৈতিক।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।